নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১৬টি ও সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সবগুলো ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ১৪৯ টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে ৩ জন কনস্টেবল, ১২ জন আনসার/ভিডিপি পুরুষ ও নারী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ১৯টি মোবাইল টিম মাঠে নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ও ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিশ্চিত করতে প্রতিটি মোবাইল টিমে একজন পরিদর্শক বা এসআইয়ের নেতৃত্বে ৪ জন কনস্টেবল থাকবে। এছাড়া ৬টি স্ট্রাইকিং দল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি স্ট্রাইকিং দলে একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৭ জন পুলিশ সদস্য থাকবে। তিনি আরো জানান, ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের পাশাপাশি একশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য ও শতাধিক র্যাবের সদস্যও দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে, সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮৩টি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ছাড়াও র্যাবের বিপুল পরিমাণ সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া ২৮টি মোবাইল টিম,৩টি স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করবে। বেগমগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নের ৮৫ জন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সাধারণ ৫৯৪ ও সংরক্ষিত পদে ১৩৯ জন ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন।বেগমগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫০ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৮ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৯টি। এছাড়া সেনবাগের ৯টি ইউনিয়নে ১,৯৫,৪৪৯ জন ভোটারের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮৬ জন, সংরক্ষিত পদে ১৩৯ জন এবং সাধারণ পদে ৫৯৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মিজানুর রহমান/এসএস/পিআর