প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা ছাই, নিমপাতা, বিভিন্ন ভেষজ পদার্থ ও জৈব উপাদান ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করতেন। শিল্প বিপ্লবের পর রাসায়নিক কীটনাশকের আবির্ভাব ঘটে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।
কীটনাশক বা বালাইনাশকের বোতল বা প্যাকেটের গায়ে দেখতে পাবেন সবুজ, হলুদ, লাল—কোনো একটি রং দিয়ে চিহ্নিত বা মার্ক করা থাকে। এর মর্ম বা প্রয়োজনীতা কী? আসলে কোম্পানি কেনইবা এ রং দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নিই কারণ—
সবুজ, হলুদ ও লাল চিহ্ন থাকে কেনসবুজ রংএটি কম বিপজ্জনক। ফসলে ব্যবহারের ৫-৭ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ, বিপণন ও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
আরও পড়ুন কৃষিভিত্তিক শিল্পের অভাবে বঞ্চিত কৃষক দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় করণীয়হলুদ রং এটি অতিমাত্রার বিপজ্জনক। ফসলে ব্যবহারের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ, বিপণন ও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
লাল রংএটি অতি উচ্চমাত্রার বিপজ্জনক। ফসলে ব্যবহারের ২০-৩৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ, বিপণন ও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
কীটনাশক ফসলের কীটপতঙ্গ মেরে ফেলে। আমরা ওই ফসল খেয়ে মারা না গেলেও কীটনাশক আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষ ধ্বংস করে। যখন বয়স বেশি হয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না; তখন ওই ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। কীটনাশকের অপব্যবহারে মানবদেহে ক্যান্সার বাসা বাঁধে।
এসইউ/জিকেএস