‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ কথাটি অনেকখানিই সত্য। সুন্দর একটি পরিবার গড়ে তোলার পেছনে স্ত্রীর ভূমিকা অনেক। তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে পরম মমতায় আগলে রাখেন পরিবারকে। তবে অনেক স্বামী আছেন, স্ত্রীর কাজের একটু এদিক-সেদিক হলেই কথা শুনিয়ে দেন। এতে করে পারিবারিক অশান্তি লেগে যায়। তাই স্ত্রীকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন।
সংসার জীবনে স্ত্রীকে খুশি রাখতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন। এতে স্ত্রী থাকবে খুশি আর সংসারও হবে সুখের। জেনে নিন করণীয়-
মন খুলে কথা বলুনস্ত্রীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। দিনের শেষে বা সপ্তাহে অথবা মাসে তাকে একান্ত কিছুটা সময় দেওয়া উচিত। এতে তার সঙ্গে খোলাখুলি সব বিষয় নিয়ে কথা বলুন। সে যেন আপনাকে বন্ধু ভাবতে পারে। স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার বিষয়গুলোও আপনার জানতে হবে। স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এতেই আপনার স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে।
দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করুনদৈনন্দিন কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করুন। এই যেমন থালাবাসন ধোয়া, পরিষ্কার করা, অথবা সন্তানদের বাড়ির কাজে সাহায্য করা। এতে করে আপনার স্ত্রীর কাজের চাপ কমবে এবং আপনারা দুজনেই একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করার সময় পাবেন।
স্ত্রী যা বলছেন সবসময় তা হেসে উড়িয়ে না দিয়ে মন দিয়ে শুনুন। স্ত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে না শুনলে পরোক্ষভাবে তাকে অসম্মান করা হয়। তাই স্ত্রী যখন কিছু বলবে, মনোযোগের সঙ্গে সেটা সম্পর্কে মতামত দিন। এতে দুজনের মধ্যকার পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে। তার কথায় সায় দিলে আপনার স্ত্রীর ভালো লাগবে।
সমস্যায় পাশে থাকুনআপনার স্ত্রী কোনো সমস্যায় পরলে, তখন তাকে একা অনুভব না করিয়ে তার পাশে থাকুন। তাকে বোঝান যে আপনি তার সঙ্গে আছেন এবং তাকে সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। এছাড়া নিজ পরিবারের সবার সামনে স্ত্রীর প্রশংসা করুন, কোনো বিষয় নিয়ে তাকে সবার সামনে ছোট করবেন না। এতে আপনার প্রতি আপনার স্ত্রীর ভালোবাসা বেড়ে যাবে অনেকখানি।
উপহার দিনস্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং সময় পেলেই তাকে উপহার দিন। বেশি দামি নয়, ছোটখাট কিছু উপহার দিয়েও কিন্তু আপনি খুশি রাখতে পারেন স্ত্রীকে। তবে সেই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যেন আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পায়, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। স্ত্রী তাতেই খুশি হবেন ।
ঘুরতে নিয়ে যানউপলক্ষ থাকুক বা না থাকুক দুজন মিলে মাঝে মাঝে দূরে কোথাও ঘুরতে চলে যান। বেড়ানো কিংবা একসঙ্গে বাইরে খাওয়া জীবনে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে সাহায্য করবে। আপনার স্ত্রীরও আপনার প্রতি কোনো অভিযোগ থাকবে না। এছাড়া ব্যস্ততার ভেতরে সময় বের করে একটু বেড়িয়ে আসলে দুজনের মনই ভালো থাকবে। বছরে এক থেকে দুইবার একটু লম্বা ট্রিপ যেতে পারেন।
সময় পেলেই স্ত্রীর পরিবারের প্রশংসা করুন। স্ত্রীর পরিবার নিয়ে এমন কোনো কথা বলবেন না যা শুনে আপনার স্ত্রী কষ্ট পান। তিনি যেন না ভাবেন আপনি তার পরিবারকে পছন্দ করেন না। সবসময় চেস্টা করুন পরিবার নিয়ে ইতিবাচক ধারণা রাখতে। এছাড়া স্ত্রীর পরিবারের সম্পর্কে তার মুখ থেকে কিছু কথা জানার চেষ্টা করুন। পারিবারিক বিভিন্ন গল্প শুনতে চাইলে, দেখবেন স্ত্রীর মন ভালো হয়ে গেছে।
সূত্র: ম্যারেজ ডটকম, মিডিয়াম, ফ্যামিলি লাইফ
আরও পড়ুন
স্ত্রীর আয় বেশি বলেই কি সংসারে দ্বন্দ্বদাম্পত্য জীবনে ঝগড়ার প্রধান কারণগুলো সমাধান করবেন যেভাবে
এসএকেওয়াই/কেএসকে/এমএস