ধর্ম

তরুণদের মূল লড়াই চরিত্র ও আদর্শ রক্ষা: শায়খ আহমাদুল্লাহ

বর্তমান সময়ে মুসলিম তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হলো নিজের চরিত্র ও আদর্শ অটুট রাখা—এমন মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, যে যুবক নাজায়েজ সম্পর্কের ফাঁদে পড়ে যায়, সে কখনোই পৃথিবী বদলে দেওয়া খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) কিংবা ওমর বিন খাত্তাবের (রা.) উত্তরসূরি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না।

গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে শায়খ আহমাদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাওয়া সহজ, কিন্তু স্রোতের বিপরীতে দাঁড়াতে হলে দরকার সাহস, দৃঢ়তা ও আদর্শিক শক্তি। তিনি মনে করেন, প্রতিকূল পরিবেশে যে যুবক ইমান, তাকওয়া ও চরিত্রের সংগ্রামে জয়ী হয়, তার হাত ধরেই ইসলামের সোনালি অধ্যায় ফিরে আসতে পারে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কেয়ামতের ভয়াবহ দিনে আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয়প্রাপ্ত সাত শ্রেণির মানুষের মধ্যে একটি শ্রেণি হলো তারা—যারা তারুণ্যে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থেকেছে। এই সংগ্রামে জয়লাভ করাই নির্ধারণ করবে একজন তরুণ আল্লাহর প্রিয়পাত্র হবে কি হবে না, জান্নাতি হবে নাকি জাহান্নামি।

শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, একজন প্রকৃত মুসলিম যুবক-যুবতী তাদের ভালোবাসা সংরক্ষণ করে বৈধ দাম্পত্য জীবনের জন্য। অন্যদিকে যারা আদর্শহীন, তারা আবেগ ও ভালোবাসাকে অবিবেচনাপ্রসূতভাবে অপচয় করে। তার ভাষায়, নবীজির (সা.) আদর্শ ধারণ করে যদি কেউ নিজের চরিত্রকে হারাম সম্পর্ক থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে, তবে তার চেয়ে সুখী আর কেউ হয় না।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু রয়েছে। তবে তাদের জীবনধারা, সংস্কৃতি বা পরিবারব্যবস্থা মুসলমানদের জন্য অনুসরণযোগ্য নয়। শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, প্রযুক্তিতে তারা শত বছর এগিয়ে থাকলেও পরিবারব্যবস্থা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে মুসলমানরা তাদের চেয়ে বহু গুণ অগ্রসর।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, দুর্বল চরিত্রের অধিকারীরা সমাজ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে না। প্রকৃত নায়ক তারা, যারা আদর্শ আঁকড়ে ধরে প্রতিকূলতার মাঝেও স্রোতের বিপরীতে চলতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, এই সংগ্রামই নির্ধারণ করবে একজন তরুণ ওমর বিন খাত্তাবের (রা.) প্রকৃত অনুসারী হতে পেরেছে কি না। এই সংগ্রামে জয়ী হলেই সে ইসলামের প্রকৃত সৈনিক হতে পারবে।

ওএফএফ