সাহিত্য

তানিয়া রাত্রির দুটি কবিতা

ধুলো

আমাকে স্পর্শ না করার অঙ্গীকার করেছো তুমি?তাই তো এখন আমি ধুলো হতে চাইআমি অনেক ভেবে দেখলাম—আসলে আমি কখনো মানুষই ছিলাম না—এখন আমি ধুলো হবো—তোমার পায়ের নিচে পড়ে থাকা রদ্দি ধুলো,

কখনো উন্মাদ হাওয়ার সাথে জেগে উঠবোকখনো ঝড় হয়ে তোমার চোখে লাফ দিয়ে পড়বো তুমি আমাকে দু’পায়ে মাড়াবে?ওটাই আমি চাই—তাতে স্পর্শ না করার অঙ্গীকার ভঙ্গ হবে তোমার?

ধুলো হয়ে যাওয়াটাই ভালোএই পৃথিবীর সবখানেআমি ধুলো হয়ে পৌঁছে যাবোধুলো হতে চাই আমি—

তোমার পায়ের নিচে মাড়িয়ে যাওয়া রদ্দি ধুলোতোমার নাকে মুখে ঢেকে যাওয়া ধুলোযেন ধুলোর সাথে তুমি এক হয়েমিলেমিশে যেতে বাধ্য হও—

ঝড়ের মাঝে আমি ফিরে আসবো বারবার যখন সব শব্দ ক্ষীণ হয়ে আসবেঝড়ের শো শো শব্দে আমায় পাবে—যে কথা না বলেও বলেছি—তাই শুনতে পাবে—পৃথিবীতে আরেকজন তুমি নেই কেন?

*****

মেশিন

পৃথিবীতে আজ আর কোনো শান্তি নেইমনে রাখবার মতো কোনো হৃদয়ও আর নেই!নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে মানুষ আরও বিশৃঙ্খল!কেবলই আহত আর মৃতেরা পড়ে আছে!এ ছাড়া আর কোনো জননীতি নেই!টিকে থাকতে হলে সময়ের সাথে ভেসে যেতে হয়!যে সময় সকলের তরে নয়—পঙ্গপালের মতো মানুষ চড়ে বেড়ায়আবার ঝরেও যায়!এই পৃথিবী ধৃষ্ট শতাব্দীর মানুষের নয়!তবু হৃদয় হয়ে সে রয়ে গেছে আজও!আজও তার অস্তিত্ব পৃথিবীতে রয়ে গেছে!আমার প্রাণের চাইতেও বেশিপ্রচারিত হয়েছে বলেসেই সময় ও ব্যথিত সময় হয়ে গেছে!

চারিদিকে মেশিন আর মেশিনের মতো সব ঈশ্বর!কী করে নিজের মানবকে খুঁজে পাবো!

এসইউ/এমএস