আত্মানুসন্ধানযেথায় খুশি ঘুরতে পারি, আমি এক মননিজেকে খুঁজে পেতে একাকিত্ব প্রয়োজন।
আত্মপরতাএকটা ফুল তোমায় দিলাম, একটা নিলাম আমিএখন তুমি ভেবে মরছো, কোন ফুলটা দামি।
নিঃসঙ্গএকই আকাশগৃহে দূর নক্ষত্রের মতোমানুষ বড় একা, হোক না সংখ্যায় যত।
অদৃষ্টএ কূল দেখে—ও কূলে ঘর আছে সারি সারিএকই নদী মাঝখানে, ভাঙে শুধু পুবের বাড়ি।
বিভ্রমছুটতে ছুটতে ক্লান্ত তবু থামবে না কেহবেলাশেষে জানবে সবাই—দুনিয়াটা মোহ।
পরিস্থিতিপরিস্থিতি বদলে দেয় বেবাক মানতৃষ্ণায় মধু নয়, পানি মূল্যবান।
পক্ষতোমার হাতে সুখ মাপো, আমার হাতে দুঃখএকই সংসারবৃত্তে বাস—ভিন্ন দু’টি পক্ষ।
দুর্দিনঅস্তগামী সূর্যটাই জেগে ওঠে রোজঅমাবস্যায় নেয়নি কেহ জ্যোৎস্নার খোঁজ।
অভিমানঅভিমানের ডানা মেলে উড়ে গেলে মনএকই গৃহে পাশাপাশি নিঃসঙ্গ দু’জন।
গোরস্থানএকদিন মানুষ ভেদাভেদ ভুলেপাশাপাশি শুয়ে থাকে মাটির কোলে।
আপন-পরএ জগতে মায়ার ভেলায়—কে আপন কে পর?যে হাওয়ায় বাঁচে প্রাণ, সে হাওয়ায় ভাঙে ঘর।
ব্যবধানদূর হতে যতই বলো বাসি খুব ভালোআঁধার জানে মাটির বুকে আসে না তারার আলো।
ছিন্নযে যাবার সে যাবেই শেষেএকদিন সুবাসও ফুলকে ছেড়ে আসে।
একাঝাঁকবেঁধে ওড়ে পাখি, ঝাঁকে হয় না থাকাএক আকাশগৃহে থেকেও প্রতিটি নক্ষত্র একা।
নিসর্গভাঙা-গড়ার নিত্য নিয়মে—পুরো নিসর্গ চলমানমাটির কবরও পূরণ করে ফেলে তার শূন্যস্থান।
নিয়তিঝরে যাওয়া মেনে নিয়ে ফুটে থাকে ফুলএক জনমে জানলো না কি ছিল তার ভুল।
দ্বিধাতুমি—মিথ্যার মতো মিষ্টি, সত্যের মতো তিতাহৃদয়নদীর উথাল ঢেউ, জীবনপাড়ে দ্বিধা।
বন্ধনআলোর গায়ে দিন, কালোর গায়ে রাতসংসার বেঁধে রাখে ভিন্ন দুটি হাত।
সাক্ষীযুগ যুগ ধরে সাক্ষী নিঝুম রাতের তারানিজের সব কথা বলে না মানুষ নিজেকে ছাড়া।
অসুখঅশ্রুজলে ধুয়ে রাখি অবুঝ দুটি চোখআর যেন না বাড়ে—ভালোবাসার অসুখ।
দৃষ্টিভঙ্গিযাকে তুমি তুচ্ছ বলো—আমি বলি সে-ও সফলশৈবাল টিকে আছে আজও, যদিও নেই ফুল-ফল।
অশ্রুফুলের কাছে ভ্রমর আসে, বৃক্ষের কাছে পাখিএকফোটা অশ্রুর জন্মকষ্ট—জানে শুধু আঁখি।
রহমতদয়ালুর দয়া মেঘ-বৃষ্টি, জানে সবুজ ঘাসেশুধু মুমিনের নয়, কাফেরের বাড়িও তা আসে।
সান্ত্বনাআলো ফুটলে যদি মরে শিশির কণাতবে ভাগ্যই জীবনের শেষ সান্ত্বনা।
আহাবাঁচার মিছিলের কান্না মৃত্যুর মিছিলে হয় শেষপদ্মার পর মেঘনা খুন, প্রতিদিনের এক দেশ।
মনগড়াগন্ধরাজে গন্ধ নেই, জবার সুবাস বাতাসেযে যার মতো গল্প লেখে ক্ষমতার ইতিহাসে।
এসইউ/এমএস