ভ্রমণ

মসজিদের নান্দনিক নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের

লক্ষ্মীপুরে সবুজে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে নজর কাড়ছে ভিন্ন আদলে গড়া একটি মসজিদ। ভিম বা কলাম ছাড়াই আরসিসি ঢালাইয়ে টানেল সদৃশ নির্মাণ করা হয় বাইতুল মামুর মসজিদ। এতে দেওয়ালের পরিবর্তে পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এর নান্দনিক নির্মাণশৈলী মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।

মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। গ্রামে সবুজ-প্রকৃতির মিশেলে এ ধর্মীয় স্থাপনাটি যেন অপূর্ব সৌন্দর্যের নিদর্শন হয়ে উঠছে। এটি দেখার জন্য নোয়াখালী ও চাঁদপুরসহ দূর-দূরান্তের মানুষ ছুটে আসছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রাম। এখানে সড়কের পাশে শিল্পপতি ফরহাদ হোসেন নেহাল চৌধুরীর বাড়ির সামনে একটি মসজিদ ছিল। ২০২১ সালে নেহাল চৌধুরী নান্দনিক করে এ মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

রাজধানী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে করা ডিজাইনে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ভিম ও কলাম ছাড়াই মসজিদটি আরসিসি ঢালাইয়ে টালেন আকৃতিতে নির্মাণ করা হয়। দুই স্তরের লোহার রড দিয়ে নিচ থেকে ৫০ ইঞ্চির ঢালাই থেকে ওপর দিকে ১০-১৫ ইঞ্চির ঢালাই দেওয়া হয়। দেওয়ালের পরিবর্তে এর পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। দুই পাশে রয়েছে লম্বা জানালা।

মসজিদের ওখানে দেখা নোয়াখালীর চাটখিল থেকে আসা তিন তরুণের সঙ্গে। এরমধ্যে কাউসার হোসেন বলেন, ফেসবুকে দেখে এখানে এসেছি। মসজিদটি দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। পুরো কাজ শেষ হলে অসাধারণ হবে। আমরা এখানে জোহরের নামাজ পড়েছি। স্মৃতি রাখার জন্য কিছু ছবিও তুলেছি।

মসজিদের ইমাম হাফেজ আবুল কালাম জানান, এখানে একসঙ্গে ৪০০ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। দুপুরে পুকুরে মসজিদটির অপূর্ব প্রতিবিম্ব দেখা যায়। রাতে মসজিদের ভেতরের লাইটের আলোতে সৌন্দর্য ফুটে কয়েকগুণ বেশি। একইসঙ্গে সামনের পুকুরের পানিতে মসজিদটির প্রতিফলনের চিত্র ফুটে উঠে।

ওই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুরাদ বলেন, মসজিদের এখনো ৪০ ভাগ কাজ বাকি আছে। অর্থসংকটে পুরোদমে কাজটি শেষ করা যাচ্ছে না। যে কেউ চাইলে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। কাজ শেষ হলে এটি দেশের অন্যতম সৌন্দর্যময় মসজিদ হবে।

জেএস/এমএস