স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা সম্ভব, যদি নিয়মিত সময়মতো খাওয়া হয়। সকালে এবং রাতে সাধারণত সঠিক সময়ে খাওয়া যায়, কিন্তু ব্যস্ততার কারণে অনেকেই দুপুরের খাবারের সময় মেনে চলতে পারেন না। কাজের চাপ কম থাকলে তাড়াহুড়া করে খেতে হয়, আবার বেশি ব্যস্ত হলে খেতে খেতে বিকেল হয়ে যায়। এ ধরনের অনিয়ম শরীরের ওপর বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি দেরি করে দুপুরের খাবার খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, হজমের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুপুরের খাবার নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া খুব জরুরি। দিনের প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে কতটা ব্যবধান থাকা উচিত, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। হার্টের অবস্থা, ওজন বৃদ্ধি- সবই এই ব্যবধানের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
খাবারের সঠিক সময় কেন গুরুত্বপূর্ণখাবারের সময় গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট খাবারের ছন্দে কাজ করে। এই ছন্দ অনুযায়ী খাবার খেলে হজম ও পুষ্টি শোষণ স্বাভাবিকভাবে হয়, ফলে শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু শরীর যখন বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকে, তখন খাবার খেলে এই ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে হজমের সমস্যা, বিপাকের গতি কমে যাওয়া এবং সামগ্রিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়েপুষ্টিবিদের মতে, সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে দুপুরের খাবার খাওয়া সবচেয়ে উপযুক্ত সমযে। প্রয়োজনে দুপুর ২টার মধ্যেও খাওয়া যেতে পারে। তবে এর বাইরে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়াই ভালো। নিয়ম মেনে একই সময়ে খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে, পেটও ভালো থাকে।
এছাড়া দিনের শুরুতে খাবার খেলে বিপাকীয় স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এটি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই দুটি ব্যাহত হলে প্রি-ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
দুপুরের খাবার নিয়ে হন সচেতনসকালে ভারী খাবার খেয়ে অফিসে যারা যান, তারা দুপুরে হালকা কিছু খেয়ে নিতে পারেন। এতে শরীর থাকবে চাঙ্গা, আর কাজে মনোযোগও বাড়বে।
অন্যদিকে যারা দুপুরে বাড়িতে থাকেন, তারা সকালে হালকা খাবার খেয়ে দুপুরে খেতে পারেন ভারী খাবার। চাইলে সকাল ও দুপুরের সময়ে খাবারে সমতা রেখেও খেতে পারেন। দুপুরের খাবারের ১০-১৫ মিনিট পরে একটু হাঁটা খুবই উপকারী। এটি ব্লাড সুগার, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এছাড়া ক্ষুধা পেলে পাকস্থলিকে অপেক্ষা করানো ঠিক নয়। ক্ষুধা পেলে তখনই খাবার গ্রহণ করা উচিত। দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখলে আলসারের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি
আরও পড়ুন প্যানিক অ্যাটাক ও অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের পার্থক্য জানেন কিআপনার শরীরের গতি বদলে দিতে পারে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য
এসএকেওয়াই/এএসএম