গাইবান্ধায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়জিদ বোস্তামী জিমের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক অতনু সাহা, যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমে স্বাক্ষরিত ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলার এনসিপির আহ্বায়ক মনোনয়ন করা হয়।
ঘোষিত কমিটি নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনার-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মাইনাস করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন এজেন্ডা হাতে নেওয়ায় প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এনসিপি অফিসে তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঘোষিত এনসিপি গাইবান্ধা জেলার সংশোধিত আহ্বায়ক কমিটি পর্যালোচনা করে গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে— এ কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং দলীয় আদর্শ ও তৃণমূলের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গাইবান্ধা জেলা কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় নেতাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এটা জুলাই আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী যোদ্ধাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে।
যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুলাহ জিসান বলেন, ‘মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে, তদবির ও প্রভাব খাটানোর মাধ্যমেই এ কমিটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে পুরো কমিটি আওয়ামী লীগপন্থি, জোকারসুলভ এবং দলীয় আদর্শবিরোধী ব্যক্তিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে।’
গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়জিদ বোস্তামী জিম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগপন্থি প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র, সয়াবিন রাজনীতির প্রতিনিধিসহ একাধিক বিতর্কিত ব্যক্তিকে অযৌক্তিকভাবে পদ-পদবি দেওয়া হয়েছে। এনসিপির ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীদের সরাসরি অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।’
আনোয়ার আল শামীম/আরএইচ