জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১১ জন স্কাউট আত্মত্যাগ করেছেন। সেই শহীদদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশের প্রেরণা খুঁজে পান বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ১১ জন স্কাউট ও আহতদের আত্মত্যাগ আমাদের নতুন দেশ গড়ার স্বপ্নকে শক্তি দিয়েছে। তাদের ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ স্কাউটসের সদরদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্কাউটস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, স্কাউটিং কেবল ব্যাজ অর্জনের প্রক্রিয়া নয়, এটি চরিত্র গঠন; মানবিক মূল্যবোধ শেখা; দলগত নেতৃত্ব; দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার এক যুগান্তকারী প্রশিক্ষণ।
দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কাউটদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড বা যে কোনো দুর্যোগে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষের পাশে প্রথম সারিতে থাকেন স্কাউট সদস্যরা। আত্মনির্ভরশীল ও সেবামুখী নাগরিক তৈরির জন্য স্কাউটিংয়ের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো জরুরি।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে সি আর আবরার বলেন, বিশ্বের ১৭৬টি স্কাউট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বর্তমানে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে, এটি আমাদের গর্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন কমিটি ও সাব-কমিটিতে বাংলাদেশি স্কাউটদের নেতৃত্ব আমাদের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ স্কাউটসে বর্তমানে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য স্কাউট নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত স্কাউটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরাই জাতির আগামী নেতৃত্ব। সততা, সাহস, দৃঢ়তা আর মানবিকতার মাধ্যমে নিজেদের শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, এটাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের অন্তর্বর্তী জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
এএএইচ/এমআরএম