নদী ব্যবস্থাপনা, স্থিতিস্থাপকতা (রেজিলিয়েন্স) ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণার জন্য অক্সফাম ও সিসিডিবি গবেষণা ফেলোশিপ পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী।
এরমধ্যে হাবিবা মেহজাবিন তপা নেদারল্যান্ডস-অক্সফামের অর্থায়নে পরিচালিত ‘অক্সফাম ইন বাংলাদেশ’র ‘ট্রোসা-টু প্রকল্প’ শিক্ষাবৃত্তি অর্জন করেছেন। নদী নির্ভর জেলেদের জলবায়ু ন্যায়বিচার, পরিবেশগত ঝুঁকি, পানি ব্যবস্থাপনা ও জলসম্পদ ব্যবহারের টেকসই পদ্ধতি বিষয়ে তিনি গবেষণা করবেন। তার তত্ত্বাবধায়ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক।
একই প্রকল্পের অধীনে নওশিন তাবাসসুম অর্জন করেছেন ‘ট্রোসা-টু: নদী, অধিকার ও স্থিতিস্থাপকতা প্রকল্প’ গবেষণা ফেলোশিপ। তিনি নদী ব্যবস্থাপনা, নদী নির্ভর জনগোষ্ঠীর অধিকার ও তাদের স্থিতিস্থাপকতা সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করবেন।
এছাড়া সহযোগী অধ্যাপক ড. রিফাত মাহমুদের তত্ত্বাবধানে মো. ফুয়াদ হাসান শাওন পেয়েছেন বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট (সিসিডিবি) এর ‘সিসিডিবি স্কলারশিপ-২০২৫’। এ বৃত্তির অর্থায়ন করছে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্রট ফ্যুউর ডি ভেল্ট’। তার গবেষণার মূল বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন, কমিউনিটি ভিত্তিক অভিযোজন এবং মাঠপর্যায়ে তথ্য ঘাটতি পূরণ।
ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা জানান, এই সুযোগ তাদের গবেষণাকে আরও গভীর, প্রভাবশালী ও কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে। আন্তর্জাতিক পরিসরেও কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এই তিনটি মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপ শিক্ষার্থীদের গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধি, মাঠপর্যায়ের কাজ, তথ্যসংগ্রহ, গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা পরিমণ্ডলে অংশগ্রহণের নতুন সুযোগ তৈরির পথ খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের গবেষণা সক্ষমতা ও সুনাম আরও সুদৃঢ় করেছে।
বিভাগীয় শিক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক ড. মালেক বলেন, এই ফেলোশিপগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী গবেষণায় আরও অনুপ্রাণিত করবে এবং নীতি–গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দা ইশরাত নাজিয়া বলেন, বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী ফেলোশিপ পেয়েছে এটা আনন্দের বিষয়। আশা করি, যে কাজে তারা ফেলোশিপ পেয়েছে তারা সাক্সেক্সফুলি (সফলভাবে) শেষ করবে এবং বাংলাদেশের যে গবেষণা ডোমেইন সেখানে একটা ভালো ভূমিকা রাখবে।
টিএইচকিউ/এমএমকে/জেআইএম