গোল করায় বরাবরই ওস্তাদ হ্যারি কেইন। বিশেষ ক্ষমতার প্রমাণ দিলেন আবারও। বুন্দেসলিগার ম্যাচে স্টুটগার্ডের বিপক্ষে বদলি নেমে করলেন হ্যাটট্রিক। তার নৈপুণ্যে স্টুটগার্ডকে বায়ার্ন হারিয়েছে ৫-০ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে ২২ মিনিটেই হ্যাটট্রিক করে এক নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
গতকাল (৬ ডিসেম্বর) ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে ১১ মিনিটে। কোনার্ড লাইমার গোল করে এগিয়ে নেন বায়ার্নকে। প্রথমার্ধে হয়নি আরকোনো গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামেন হ্যারি কেইন। দলের ব্যবধান বাড়ান তিনি নিচু শটে গোল করে। ৬৬ মিনিটে সেই গোলের পর পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন ৮২ গোল।
৮৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক আদায় করেন মাইকেল অলিসের ক্রস থেকে বল পেয়ে লক্ষ্য ভেদ করে। বুন্দেসলিগার ৭৬ ম্যাচে এটি তার দশম হ্যাটট্রিক। গড়ে প্রতি ৭–৮ ম্যাচে তিনি একটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন।
৫-০ ব্যবধানে বায়ার্নের জয়ে ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন ইউসিপ স্ট্যানিসিচ।
২০২৩/২৪ মৌসুমে বখুম, ডার্মস্টাড, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও মায়েঞ্জের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন হ্যারি কেইন। ২০২৪/২৫ মৌসুমে কিল, স্টুটগার্ট ও অগসবুর্গের বিরুদ্ধেও তিন গোলের কীর্তি গড়েন তিনি। আর চলতি মৌসুমে লাইপজিগ ও হফেনহাইমের বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক ছুঁয়ে ফেলেন। বুন্দেসলিগায় এতগুলো হ্যাটট্রিকের সংখ্যায় কেইনের চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র চার ফুটবলার।
১১ হ্যাটট্রিক নিয়ে তালিকায় আছেন সাবেক বায়ার্ন কোচ জুপ হায়নকেস। তার পরেই ১২ হ্যাটট্রিকে শালকে কিংবদন্তি ক্লাউস ফিশার। ১৬ হ্যাটট্রিক করে তৃতীয় স্থানে রবার্ট লেওয়ানডস্কি। আর সবার ওপরে একেবারে দূরত্ব সৃষ্টি করে আছেন গার্ড মুলার—অবিশ্বাস্য ৩২ হ্যাটট্রিক তার ঝুলিতে।বর্তমান ফর্ম ধরে রাখতে পারলে মুলারের সেই রেকর্ডে পৌঁছাতে হ্যারি কেইনের দরকার হবে আরও প্রায় ১৬৮ ম্যাচ, অর্থাৎ অন্তত পাঁচ মৌসুম।
১৩ ম্যাচে ১২ জয় ও ১ ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট হলো ৩৭। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লাইপজিগ। ১৩ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে স্টুটগার্ট।
আইএন