দেশজুড়ে

ফরিদপুরে আসন নিয়ে বিক্ষোভের মামলায় গ্রেফতার হাজতির মৃত্যু

ফরিদপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে জাকের মোল্লা (৫১) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বুকে ব্যথাজনিত কারণে কারাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

জাকের মোল্লা ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। তিনি তিন ছেলের বাবা।

জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি হিসেবে গত ১৮ অক্টোবর তাকে হাজতি হিসেবে আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাস করতে গিয়ে ফরিদপুর-৪ এর অধীনে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে পাশের ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাদুজ্জামান। ওই মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে প্রধান করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে জাকের মোল্লাকে গত ১৮ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়।

নিহত জাকের মোল্লার ছোট ভাই সোহাগ মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভাই এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। তারপরও তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে রাখা হয়। অসুস্থ হওয়ার পরও আমাদের জানানো হয়নি। সকালে মৃত্যুর পরে আমাদের খবর দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কারাগারের সুপার নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, স্টোকজনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে হাজতি জাকের মোল্লার। তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান। মৃতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করে পরিবারের সদস্যদের হাতে দেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এমএন