শিক্ষা

স্কুলে ভর্তিতে সাড়ে ১০ লাখ আবেদন, সরকারিতেই ৭ লাখ

সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এতে মোট ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪টি আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। আর বেসরকারিতে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬টি।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। এ সময়ের মধ্যে সফলভাবে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিতরাই কেবল ভর্তির সুযোগ পাবে।

মাউশির তথ্যমতে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে চার হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬০টি।

সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি এবং বেসরকারি স্কুলে আসন ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি।

এদিকে সরকারি স্কুলে শূন্য আসন এক লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করেছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। ফলে সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ছয়টি।

আর বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। সেই হিসাবে সব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেও ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫টি আসন শূন্যই থাকবে।

অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, সরকারি স্কুলে সবসময় বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। আর বেসরকারিতে অনেক আসন থাকলেও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝোঁক স্বল্পসংখ্যক নামি স্কুলের দিকে। সেসব স্কুলেই বেশি আবেদন পড়ে। অনেক স্কুলে আসন শূন্যই থেকে যায়।

এএএইচ/এমআইএইচএস