তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেছেন, বিজনেস হচ্ছে সিএসএমই আর আইসিটি হচ্ছে শক্তি। এই দুইটার সমন্বয় দরকার। এখন রিসিভ প্রসিটি কিন্তু দুদিক থেকেই হবে। যদি আইসিটি গ্রো করে তাহলে সিএসএমই গ্রো করবে। আর যদি সিএসএমই গ্রো করে তাহলে আইসিটির কদর ও কার্যক্রম বাড়বে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘অটোমেটেড ইনোভেশন: শপিং আপ দ্যা সিএমএসএমই জার্নি’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
শীষ হায়দার বলেন, আমরা যে ট্রান্সফরমেশনগুলোর কথা বলছি সেগুলো নিয়ে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। এই কাজগুলো আজ থেকে নয়। বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের কাজ শুরু হয়েছে দেড় দশক আগে। এখন এই দেড় দশক আগের কাজের কি ফলাফল সেটা কি পাওয়ার সময় হয়েছে? নাকি আমরা একটা অবস্থানে আছি? আমরা কীভাবে কাজ করেছি এটার বেশকিছু সমালোচনা আছে। আমার পূর্বসূরি যেসব কাজ করেছে এটার অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। নিশ্চয়ই কিছু কাজ হয়েছে। কাজটা কেমন হয়েছে সেটা আইডেন্টিফাই করা এখন জরুরি। আমরা যদি জানি আমরা কোন পজিশনে আছি এবং কোথায় যাবো, তাহলে কিন্তু আমাদের গ্যাপটা আমরা খুব ভালোভাবে এনালাইসিস করতে পারি। আর গ্যাপটা যদি এনালাইসিস করা যায় তাহলে প্রসিস করার জন্য ম্যাপিং টা সম্ভব।
চারটা ফোকাস নিয়ে কাজ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটা হচ্ছে ইন্টিগ্রেশন। এই ইন্টিগ্রেশনের জন্য অনেকগুলো কাজ আছে। ডাটা ওনার এবং ডাটা ইউজারের মধ্যে যে গ্যাপটা আছে সেই গ্যাপের মধ্যে যে বাথ রুটটা আছে সেই বাথ রুটের ট্রাফিকে সিকিউরিটি টা মেনশন করা দরকার। ডাটাগুলি স্টোর হবে কোথায়? এটা কি ইনহাউজ হবে? দেশেই থাকবে নাকি বিদেশে থাকার ব্যাপারে অনুমতি আছে। এই জিনিসগুলো দেখা জরুরি।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে অ্যাক্সেসএবিলিটি। এখন আমার ডাটাই আমি এক্সেস দেব কি না? ধরেন আমার ডাটা একটা জায়গায় স্টোর করা আছে। এর মধ্যে পাঁচটা আমার একেবারে ব্যক্তিগত। এখন ডাটা পুল করার সময় ইউজার ওই পাঁচটা ডাটাসহ পুল করবেন কি না। এই জায়গায় আমার আর্কিটেকচার ডিজাইন টা করতে হবে এমনভাবে যে আমার পার্সোনাল ডাটাগুলো এক্সপোস করে দেবে। এই জায়গাগুলোতে আমরা ইন্টিগ্রেশন এবং অ্যাক্সেসএবিলিটির পার্টটা আমরা দেখছি।
তৃতীয়ত হচ্ছে ইন্টার অপারেটর পার্ট। আমরা বলেছি প্রত্যেকে ইন্ডাস্ট্রি, এসএমই, একাডেমিয়া, গভমেন্ট প্রত্যেকটা নিজের জায়গা তৈরি করে রেখেছে। সরকারের যে ইকোসিস্টেমগুলো এরমধ্যে ফ্রেগমেনেন্ট ইকো সিস্টেম। হেল্থের যে প্ল্যাটফর্ম আছে এর সঙ্গে এক্সেস অ্যাবিলিটি সমাজ কল্যাণের নেই। এগুলো যদি এভাবে ইন্টিলেটেড না হয় তাহলে কিন্তু আমরা আল্টিমেট রেজাল্ট টা পাবো না। তাই আমাদের দরকার প্রাইভেট সেক্টর পাবলিক সেক্টর সিএসএমই এবং অন্য যতগুলো জায়গায় ইকো সিস্টেমের ডেভেলপমেন্ট গুলো আছে সেগুলো ঠিক করতে হবে।
সবশেষ স্টেবিলিটি। আমরা একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করি। কয়দিন পর দেখা যাচ্ছে এটাকে ডিসকার্ট করে নতুন প্ল্যাটফর্ম করে আবার সামনের দিকে যায়। এতে আমাদের খরচ এবং সময়ের ব্যাপক ব্যয় হয়। এগুলোর মাইগ্রেশন দরকার আছে।
এসময় এসব অসুবিধার জায়গাগুলোতে যতটা সাপোর্ট প্রয়োজন হবে সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সাপোর্ট দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে অংশ নেন ক্ষুদ্র পর্যায়ের বেশ কিছু এসএমই ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনায় বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও বাঁধাগুলো তুলে ধরেন এবং আলোচকরা সে সমস্ত সমস্যা সমাধান ও বাঁধাগুলো কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. জিয়াউল আবেদীন ও বুয়েটের আইপিই বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ কে এম মাসুদ।
এছাড়াও এসএমই ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান।
কেআর/এমআইএইচএস/এমএস