কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিনভর টানটান উত্তেজনান ছিল শহরজুড়ে। সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে রাস্তাঘাটে ভিড় বাড়তে থাকে। এতে পুরো শহরের রাজনৈতিক আবহ ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষও পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিল।
দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচজন নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অভিযোগ করেন, মনোনয়ন বঞ্চনার সিদ্ধান্তে তৃণমূলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিও জানান তারা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল হুসাইন এবং সাবেক সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
বিকেলে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা শহরে ধানের শীষের মিছিল বের করেন। রাতে আবার মাঠে নামেন মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা মশাল মিছিল করেন। মিছিলকে ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে স্লোগান চলতে থাকায় রাতেও শহর উত্তপ্ত ছিল।
দিনভর এসব কর্মসূচির কারণে কিশোরগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চাপে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় দিন-রাতের কর্মসূচি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশের ৩৬টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। প্রার্থী ঘোষণার পরই এই আসনে বিরোধ তৈরি হয়।
এসকে রাসেল/এমএন/জেআইএম