খেলাধুলা

হাবিবুুর সোহানকে ফ্রিডম দেওয়া হবে, সে তার মতোই খেলবে: সুজন

তার ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে ওঠা খালেদ মাহমুদ সুজনের হাত ধরে। ঢাকা থেকে প্রতি সপ্তাহে গিয়ে রাজশাহীর যে ‘বাংলা ট্র্যাক’ ক্রিকেট কোচিং একাডেমিতে কোচিং করান সুজন, সেই একাডেমির ছাত্র হাবিবুর রহমান সোহান। সেই বাংলা ট্র্যাকের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের হাত ধরেই দুই বছর আগে প্রথম বিপিএলে নাম লেখান সোহান।

কিন্তু ২০২৩ সালে প্রথমবার বিপিএল খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তখনকার কৈশোর পার করা সোহান। সময়ের প্রবাহতায় সেই হাবিবুর রহমান সোহান এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত, অনেক আত্মবিশ্বাসী। নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থাও বেড়েছে।

তার চেয়ে বড় কথা, এখন সোহানের ব্যাটে রান আছে। এই তো কদিন আগেই এশিয়ান রাইজিং স্টার্স ক্রিকেটে হংকংয়ের বিপক্ষে ১০ ছক্কা, ৮ বাউন্ডারিতে ৩৫ বলে ১০০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস আর সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪৬ বলে ৫ ছক্কায় ৬৫ রানের ঝড়; বুঝিয়ে দিয়েছে তিনি কী করতে পারেন।

বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের হেড কোচ সুজন সেই ঝোড়ো ব্যাটিংটাই চান সোহানের কাছে। সুজন চান, সোহান নিজের ন্যাচারাল ও স্বাভাবিক খেলাটাই খেলুক।

সুজনের বিশ্বাস, ওপেনার সোহান নিজের মতো করে খেলতে এবং জ্বলে উঠতে পারলে, তার দলের ম্যাচ জেতা সহজ হয়ে যাবে। তখন পরের ব্যাটারদের স্বচ্ছন্দে খেলতে পারবেন।

সুজনের কথা, ‘সোহানের কাছ থেকে আমি একটা ফ্লাইং স্টার্ট চাইবো। ওকে ফ্রিডম দেওয়া থাকবে। সোহান সোহানের মতোই খেলবে।’

সোহানের পাশাপাশি সাব্বির হোসেনের কাছেও নোয়াখালী কোচের প্রত্যাশা বেশি। সুজন বলেন, ‘সোহান তার মতো খেলুক, এটাই আমি চাই। সোহান ও সাব্বির যেদিন খেলবে, ওরা যাতে প্রতিদিন রান করে। ওরা প্রতিদিন রান করলে আমার মিডল অর্ডারের জন্য স্বচ্ছন্দে খেলা ও রানের চাকা সচল রাখার কাজটি সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু এটাও জানি, সোহান আর সাব্বিরের খেলার ধরন যেহেতু বেশি আক্রমণাত্মক, প্রতিদিন রান করা কঠিন। হয়তো তারা প্রতিদিন রান করবেও না। যেদিন করবে, সেদিন একাই যে কোনো দলের বোলিং দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারে। আমি সোহান ও সাব্বিরের কাছে সেটাই প্রত্যাশা রাখি।’

এআরবি/এমএমআর