জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘২৪ এর অভ্যুত্থানে যারা শাহাদাতবরণ করেছেন, তারা যে নতুন সংস্কারের বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলো এই সংস্কারের কথা বিএনপি-জামায়াত তাদের আলোচনার মধ্যে আর প্রধান করে তুলছেন না। তারা কীভাবে ক্ষমতা দখল করবেন, কীভাবে ক্ষমতায় আসবেন শুধু সেই ধরনের বুদ্ধি পরামর্শ, এই ধরনের আয়োজনের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত রেখেছেন। বাংলাদেশের জনগণকে ভালো করে এটা বুঝতে হবে।’
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের এক ধরনের প্রস্তুতি আমরা খেয়াল করছি। কিন্তু যে নির্বাচনটা ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচনটা নিছক কোনো ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ার নির্বাচনের কথা ছিল না। আমরা যারা ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম, আমরা সেই সময় থেকে চেয়েছিলাম এই বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামোর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ জিইয়ে থাকে সেই কাঠামো থেকে উৎরে গিয়ে নতুন এক কাঠামোর রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। সেটা আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য এবং চাওয়ার জায়গা ছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনের একমাত্র এজেন্ডা হওয়ার কথা ছিল সংস্কার। কিন্তু নানাভাবে নির্বাচন একটি শোডাউনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়েছে।
আখতার বলেন, একদল বলছে যে, আমরা আগে ক্ষমতা পরিচালনা করেছি, অভিজ্ঞতা আছে। আরেক দল বলছে আমরা কখনোই ক্ষমতায় আসি নাই, আমরা নতুন কিছু দিতে চাই। যদিও তারা মন্ত্রিত্ব শেয়ার করেছে। যারা ক্ষমতায় ছিলেন বলে নানাবিধভাবে আবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন, এই আশাবাদ মানুষের কাছে ব্যক্ত করছেন, দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতার কথা বলছেন বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা ভুলে যায়নি।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, এই নির্বাচনটা শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের বিষয় নয়। নির্বাচনের পার্ট হচ্ছে গণভোট। যে গণভোটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো চেয়েছিলাম, যতটুকু জুলাই সনদে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশে যতটুকু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা কতটুকু বাংলাদেশের গৃহীত হবে বা না হবে সেই পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, সেটিও এই নির্বাচনের একটি পার্ট।
এনএস/এমএমকে