বাতিল হওয়া সৌর বিদ্যুতের ১২টি প্রকল্পে ফের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুনঃদরপত্রের মাধ্যমে এই ১২ প্রকল্প থেকে আগের চেয়ে কম মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার সুযোগ পেয়েছে সরকার। এতে বছরে ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা সাশ্রয়ের আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রকল্পগুলো অনুমোদন করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের আ্ওতায় অনুমোদন হওয়া ৩৪টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প গত বছর বাতিল করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। বাতিল হওয়া এসব প্রকল্পের মধ্যে এখন ১২টি ফের অনুমোদন দেওয়া হলো। এই প্রকল্পগুলোর প্রতিটিতে এখন ২ থেকে ৩ সেন্ট কম দরে বিদ্যুৎ কেনা যাবে বলে জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, আজকে সৌর বিদ্যুতের ১২টা প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে, যেখান থেকে ৯৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। প্রকল্পগুলো আগে ২০১০ সালের বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের অধীনে মূল্য ঠিক করা ছিল। যেহেতু আইনটা বাতিল হয়ে গেছে সে জন্য প্রকল্পগুলোও বাতিল হয়েছিল। কারণ আমাদের ধারণা ছিল যে এগুলো ওভারপাইস। এখন ১২টা প্রকল্পের প্রতিটিতেই ২ থেকে ৩ সেন্ট দাম কম পেয়েছি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (বর্তমানে বাতিল) এর আওতায় অযাচিত প্রস্তাবের মাধ্যমে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ট্যারিফ ছিল কিলোওয়াট ঘণ্টা ১৩.০০৫২ টাকা। এখন সেটা কমে ৯ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। এতে ১২টি প্রকল্প থেকে বছরে ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করছে সরকার।
ফটিকছড়িতে ২০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টবিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায় ২০০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড-টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিং লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা করা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ৯.৪৫৫ টাকা হিসেবে আনুমানিক ৭ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
পাবনায় ১৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টবিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, পাবনা জেলায় ১৫০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও প্যারামাউন্ট হোল্ডেং-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৬২৫৮ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৬ হাজার ৩২১ কোটি ৭১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সুধারাম, নোয়াখালীতে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টবিদ্যুৎ বিবাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, সুধারাম, নোয়াখালীতে ১০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথবাবে মাহিন ও বিদুল্লাঙ্কা-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৮.৯৯ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৩৯৩ কোটি ৫১ লাখ ৬৭হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
হাটহাজারীতে ১৮ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টচট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ১৮ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান এফজিএল, এফএইচএল এবং জিবিবি কনসোটিয়াম-এর সাথে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৯৮ টাকা হিসেবে আনুমানিক ৭৫৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
মৌলভীবাজারে ২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টমৌলভীবাজারে ২৫ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ১টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথাভাবে পিএইচএল ও পিটিএল-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ৯.১৯২ টাকা হিসেবে আনুমানিক ১ হাজার ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ফটিকছড়িতে ৪৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ৪৫ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ১টি প্রস্তাব কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী-ইনফ্রাকো কনসোটিয়াম-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৩২৪ টাকা হিসাবে আনুমানিক ১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯২ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
চকরিয়ায় ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টকক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি প্রস্তাবই কারিগরি রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ৯.৮৬৯৮ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৪ হাজার ৪৩ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
জলঢাকাতে ৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টনীলফামারী জেলার জলঢাকাতে ৫০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ১টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান কনকর্ড প্রগতি কনসোটিয়াম লিমিটেড-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ১০.০৭৭ টাকা হিসাবে আনুমানিক ২ হাজার ১৬২ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
কক্সবাজারে ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টজোয়ারিয়া নালা, রামু, কক্সবাজারে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে চায়না নর্থইস্ট ইলেকট্রিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিসেস এবং বিএম স্টার ট্রেড লিমিটেড-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা ৭.৯৬৬৬ টাকা হিসেবে আনুমানিক ৩ হাজার ৪৯১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বিবিয়ানা ৫০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টবিবিয়ানা, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জতে ৫০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ২টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পিএইচএল ও পিটিএল-এর সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৯১৮৬ টাকা হিসাবে আনুমানিক ২ হাজার ১৭১ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বুড়িরডাঙ্গায় ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টবুড়িরডাঙ্গা, মোংলা, বাগেরহাটে ১০০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে ১টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কনফিডেন্স পাওয়ার বগুড়া ইউনিট-২ লিমিটেড এবং এশিয়ান ইনটেক পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৮৬৯৮ টাকা হিসাবে আনুমানিক ৪ হাজার ৪১ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
হেমায়েতপুরে ৭০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টপাবনা জেলার হেমায়েতপুরে ৭০ মেগাওয়াট (এসি) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে মাত্র ১টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে একমাত্র রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং প্যারামাউন্ট হোল্ডিং লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা হলে ২০ বছর মেয়াদে এই কোম্পানিকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৯.৬৩৮০ টাকা হিসাবে আনুমানিক ২ হাজার ৯৫৫ কোটি ১ লাখ ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ময়মনসিংহে ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্ররুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক ময়মনসিংহে স্থাপিত ২১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুনর্নির্ধারিত ট্যারিফ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ২৩ নভেম্বর একনেক সভার অনুমোদনক্রমে সরকারি মালিকানাধীন রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লি. (আরপিসিএল) কর্তৃক ময়মনসিংহে ২১০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিতি হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত হয়।
বিদ্যমান ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৬.৩৫১৬ টাকার পরিবর্তে পুনঃনির্ধারিত ট্যারিফ ৫.৩৪৭৮ টাকা নির্ধারণের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে বাবিউবো বছরে প্রায় ৭৮৮.৯৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ হিসাবে চুক্তির অবিশিষ্ট মেয়াদ ৩ বছর ১১ মাস ১৮ দিন মেয়াদে আনুমানিক ৩ হাজার ১২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এমএএস/এমকেআর