সাদা পোশাকে মিনিমালিজম কতটা আধুনিক, শক্তিশালী এবং নজরকাড়া হতে পারে তাপসী পান্নুর সাম্প্রতিক উপস্থিতি তা নতুন করে প্রমাণ করল। উজ্জ্বল, জাঁকজমকপূর্ণ সাজ নয়; বরং নিখুঁত কাট, পরিমিত ডিজাইন আর সঠিক অ্যাক্সেসরিজই যে আজকের ট্রেন্ড নির্ধারণ করে, তার জীবন্ত উদাহরণ তিনি।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা লুকটিতে তাপসী পরেছিলেন হাউস অব পিঙ্কসের লামোরা মিডি ড্রেস। পলিয়েস্টার ও স্প্যানডেক্সের বডিকন ফ্যাব্রিক, যা শরীরের গড়নকে স্কাল্পটেড লাইনে তুলে ধরেছে। করসেট-অনুপ্রাণিত স্ট্রাকচার পুরো পোশাকে এনেছে জ্যামিতিক দৃঢ়তা। তার মাঝখানে থাকা শিয়ার মেশ অংশে আছে স্বচ্ছতার আভাস আর সুইটহার্ট নেকলাইন যোগ করেছে স্নিগ্ধ অথচ সাহসী আবেদন। বস্টে হালকা রুশড ডিটেইল সাদার একরঙা সৌন্দর্যে তৈরি করেছে সূক্ষ্ম ভিন্নতা।
ডিটাচড স্লিভস পুরো সাজে যুক্ত করেছে আধুনিক নান্দনিকতা, যেন ক্লাসিক সিলুয়েটের ভেতর দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে সাম্প্রতিক কতুর ফ্যাশনের স্বাক্ষর।
স্টাইলিংয়েও ছিল একই রকম সংযম আর দৃঢ়তা। স্টাইলিস্ট দেবকি ভাট্ট তাপসীর জন্য বেছে নিয়েছিলেন একটি স্টেটমেন্ট চোকার সঙ্গে দুই হাতে মেটালিক কাফ। গলার চোকার আর পোশাকের স্কাল্পটেড গঠন মিলিয়ে তৈরি করেছে দারুণ সিঙ্ক্রোনি।
অ্যাক্সেসরিজে আউটহাউস, ইসভানা, ইশহারা এবং সিমরন ছাবড়ার জুয়েলারি রাখা হয়েছে পরিমিত কায়দায়। মেটালিক টোনের ধারাবাহিকতা যেখানে ভাঙেনি একবারও। লুকটি সম্পূর্ণ করতে তাপসী বেছে নিয়েছিলেন সিলভার স্টিলেটো, যা পুরো সাজে এনেছে গ্ল্যামারের নরম ঝিলিক।
চুল ছিল সোজা, পরিপাটি, মাঝখান থেকে সিঁথি করা। তবে সবচেয়ে আলাদা করে চোখে পড়ে তার মেকআপ। বিশেষ করে গ্লসি মেটালিক ব্রাউন লিপশেড, যা সাদা পোশাকের সঙ্গে এডিটোরিয়াল লুক এনে দেয় সহজেই। মুখের ত্বক রাখা হয়েছিল স্বাভাবিক; চোখ ছিল সুচারু আর কনট্যুর ছিল ন্যূনতম-যেন পুরো সাজটি নিখুঁত ভারসাম্যে দাঁড়িয়ে থাকে।
তাপসীর এই স্টাইল বলছে একটাই কথা সাদা শুধু নিরপেক্ষ রং নয়, বরং এক ধরনের শিল্পিত ক্যানভাস। সঠিক সিলুয়েট, মেটালিক অ্যাকসেন্ট আর আত্মবিশ্বাস থাকলে মিনিমাল লুকও হয়ে উঠতে পারে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও আধুনিক।
জেএস/