দেশজুড়ে

উর্দুভাষীদের জীবনমান উন্নয়নে ৭ দাবি

বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দুভাষীদের উচ্ছেদ বন্ধ করে পুনর্বাসনসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে কাউন্সিল অফ মাইনোরিটিজ। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- সাবেক সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক, বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা কমিটির সভাপতি এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, জামায়াতের শহর শাখার আমীর শরফুদ্দিন খান, সমাজ সেবক অন্য রবি, উর্দুভাষী নেতা মাজিদ ইকবাল, আব্দুল লতিফ প্রমূখ।

বক্তারা জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে ৯টি জেলায় ১১৬টি ক্যাম্পে উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী সব রকমের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। তাদের সমস্যা সমাধানে আশ্বস্ত করা ছাড়া সহযোগিতা করেনি কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান। দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তারা প্রতিশ্রুতির বাণী শুনতে চান না। এর বাস্তবায়ন চান।

তারা জানান, ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশে বসবাসরত সব উর্দুভাষী বাংলাদেশে নাগরিকের মর্যাদা পেয়েছে। তাই রাষ্ট্রের সব মৌলিক অধিকার পাওয়া তাদের ন্যায্য চাওয়া। দেশের সার্বিক উন্নয়নে উর্দুভাষীরাও সমান ভূমিকা রাখতে চায়।

দারিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সারা দেশে বসবাসরত উর্দুভাষীদের যতদিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন না হয়, ততদিন পর্যন্ত তাদেরকে কোনো রকম হয়রানি বা উচ্ছেদ করা যাবে না।

জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে যেসব এলাকায় উর্দুভাষী জনগোষ্ঠী বেশি বসবাস করে সে সব এলাকায় উর্দুভাষীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। সংরক্ষিত মহিলা আসনে কমপক্ষে একজনকে সংসদ সদস্য হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সংরক্ষণ নীতি থাকতে হবে।

যতদিন পর্যন্ত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীদের পুনর্বাসন হচ্ছে না, ততদিন পর্যন্ত প্রণীত বিধি অনুযায়ী ক্যাম্পের সব সুযোগ-সুবিধাসহ বিদ্যুৎ, পানি ও নিরাপত্তা বহাল রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।

শিক্ষিত বেকার যুবকদের সরকারি চাকরি এবং কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা। এ ছাড়া ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষীদের সংবিধান বর্ণিত ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর’ আওতায় এনে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।

আমিরুল হক/এনএইচআর/জেআইএম