আন্তর্জাতিক

বুলগেরিয়া সরকারের পদত্যাগের দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

বুলগেরিয়ায় সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বুধবার সন্ধ্যায় (১০ ডিসেম্বর) দেশটিতে দুর্নীতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ। খবর রয়টার্সের।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী সোফিয়া এবং কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী দেশটির আরও কয়েক ডজন শহরে সর্বশেষ বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এমন এক সময় দেশটিতে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে যখন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বুলগেরিয়া ইউরোকে তাদের সরকারি মুদ্রা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা লেজার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সোফিয়ায় অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনে ‘পদত্যাগ’, মাফিয়া আউট এবং সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন শব্দ প্রদর্শন করেছে। সোফিয়ার বাসিন্দা ৬৪ বছর বয়সী ডোবরি লাকভ বলেন, আমি মনে করি জনগণের শক্তি ধীরে ধীরে তাদের (সরকারকে) পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে কারণ অনেক সংস্কার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, প্রথমত বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রয়োজন। যদি বিচার ব্যবস্থা ঠিক করা হয়, তাহলে বাকি সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে, একেবারে সবকিছুই।

বুলগেরিয়ার সংসদ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রোজেন ঝেলিয়াজকভের সরকারের ওপর অনাস্থা ভোটের আয়োজন করবে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর ষষ্ঠবারের মতো অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে সরকার ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে নেয়। বিরোধী দল এবং অন্যান্য সংগঠন জানিয়েছে যে, তারা উচ্চতর রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের অর্থায়নের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা অবদান এবং লভ্যাংশের ওপর কর বৃদ্ধির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে।

বাজেট পরিকল্পনার বিষয়ে সরকার পিছু হটার পরেও গত চার বছরে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের মধ্যে ২০২৪ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইটি বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানোভ বলেন, অবশেষে বুলগেরিয়ায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসার এবং আমাদের অভিজাততন্ত্র, মাফিয়া এবং তাদের প্রতিনিধিত্বকারী শক্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করার সময় এসেছে।

এদিকে বুধবার বুলগেরিয়ান সংবাদ সংস্থা বিটিএ জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন জিইআরবি দলের নেতা বয়কো বরিসভ বলেছেন, ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদাররা ১ জানুয়ারি বুলগেরিয়া ইউরো জোনে যোগদানের আগে পদত্যাগ না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

তবে বুধবারের বিক্ষোভের আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম সংস্কারবাদী বিরোধী দল ‘উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ’-এর অ্যাসেন ভ্যাসিলেভ বলেন, সরকার পদত্যাগ করলেও আমরা ইউরো জোনে প্রবেশ করবো।

টিটিএন