মালয়েশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংস্থাটি দাবি করছে, ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, তারা নথি অনুযায়ী চলতি বছর ইউএনএইচসিআর মাত্র দুটি আবেদন করেছে ডিপো পরিদর্শনের জন্য।
মন্ত্রী বলেন, বুধবার, নিউইয়র্ক টাইমসে ইউএনএইচসিআর বলেছে আমরা নাকি তাদের ডিপোতে ঢুকতে দিই না। কিন্তু বাস্তবে এ বছর তারা মাত্র দু’বার আবেদন করেছে। তারপরও তারা বিশ্বের সামনে ভুল ধারণা তৈরি করছে। এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৯ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরকে মালয়েশিয়ার অধিকাংশ ইমিগ্রেশন ডিপোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, ফলে শরণার্থী শনাক্তকরণ ও ডিপোর অবস্থা পর্যবেক্ষণে তারা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রিপোর্টে আরও উল্লেখ ছিল, গত বছর মাত্র দুইটি সীমিত পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সাইফুদ্দিন নাসিউশন বলেন, মালয়েশিয়া ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী না হলেও মানবিক কারণে দেশটি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। আমরা আন্তর্জাতিক কোনো চাপে নয়, নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে মানবিক সহায়তা দিচ্ছি।
মন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়া মূলত একটি ‘ট্রানজিট দেশ’। ইউএনএইচসিআর–এ নিবন্ধিত শরণার্থীরা তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অপেক্ষায় থাকেন। তবে সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতিসংঘের অর্থায়ন সংকোচন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নীতির কারণে বৈশ্বিক পুনর্বাসন সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
ফলে মালয়েশিয়ায় থাকা শরণার্থীদের তৃতীয় দেশে যাওয়ার সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশের জন্য এই সুযোগ এখন খুবই সীমিত। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় বিষয়টি সরকারকেই সামাল দিতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এমআরএম/জেআইএম