দেশজুড়ে

ময়মনসিংহে কমছে সবজি-মুরগির দাম

ময়মনসিংহে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে ব্রয়লার ও কক মুরগির দাম। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে করলার দাম। করলা ১০০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি গাজর ৬০ টাকা থেকে কমে ৪০টাকা, দেশি শিম ১০০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে কমে ৪০টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা থেকে কমে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাঁচামরিচ ৬০টাকা, চিকন বেগুন ৪০টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, চায়না গাজর ১১০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজিতে লাউ ৫০ টাকা পিস ও কাঁচকলা ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারে স্থিতিশীল অবস্থায় সিলভার কার্প ২১০-২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৮০ টাকা, পাঙাশ ১৬০-১৯০ টাকা, রুই ৩২০-৪২০ টাকা, কালবাউশ ৩০০-৩৭০ টাকা, ট্যাংরা ৫১০-৭৮০ টাকা, মৃগেল ২৬০-৩৩০ টাকা, কাতলা ৩৪০-৪৪০ টাকা, পাবদা ৩৯০-৫২০ টাকা, শিং ৩৪০-৬৪০ টাকা, টাকি ৪১০-৫৪০ টাকা, শোল ৫৯০-৬৪০ টাকা ও কৈ ২৪০-৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কমেছে সোনালী কক মুরগি, সাদা কক মুরগি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। সোনালী কক মুরগি ২৯০ টাকা থেকে কমে ২৭০ টাকা, সাদা কক মুরগি ২৬০ টাকা থেকে কমে ২৫০ ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা থেকে কমে ১৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মুরগি কিনতে আসেন আব্দুস সাত্তার। এসময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সবজি ও মুরগি কিনতে এসে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে বাজারে সঠিকভাবে মনিটরিং থাকলে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ বাজারে সবজির প্রচুর সরবরাহ রয়েছে।

মাছ কিনতে আসেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, মাছের দামে উত্তাপ বিরাজ করছে। ধীরে ধীরে মাছের দাম বাড়িয়ে এখন কয়েকদিন যাবত স্থিতিশীল অবস্থায় হচ্ছে। ফলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন।

সবজি বিক্রেতা ফরিদ মিয়া বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক বেড়েছে। ফলে দামও নিম্নমুখী। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।

মুরগি বিক্রেতা আজিজুল হক বলেন, পাইকারি সোনালী কক মুরগি, সাদা কক মুরগি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। আমরা কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারায় বিক্রি বেড়েছে।

মাছ বিক্রেতা হাফিজ মিয়া বলেন, আড়তে দাম বাড়লে খুচরা বিক্রেতারাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে এখন মাছ স্থিতিশীল অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, সবজি ও মুরগির দাম কমেছে বলে জানতে পেরেছি। বিক্রেতারা ন্যায্য দামে বিক্রি চলমান রাখলে ক্রেতারা সন্তুষ্ট থাকবে। এজন্য বাজারে আমাদের নজরদারি রয়েছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/আরএইচ/জেআইএম