আন্তর্জাতিক

চীন-ভারতসহ কয়েক দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর

মেক্সিকোর আইনপ্রণেতারা চীন ও ভারতসহ বেশ কিছু দেশের শত শত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের একটি বড় প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সিনেটে পাস হওয়া এই পদক্ষেপকে প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেছেন দেশের স্থানীয় উৎপাদনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয়।

নতুন শুল্ক ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ধাতু, গাড়ি, পোশাক, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতিসহ মোট ১ হাজার ৪০০–এর বেশি পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই—যেমন চীন, থাইল্যান্ড, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া—তাদের পণ্যও এতে প্রভাবিত হবে।

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো যখন মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকোর ওপর কঠোর আমদানি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, নতুন শুল্ক চীনসহ বাণিজ্য অংশীদারদের স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তিনি জানান, মেক্সিকোর বাণিজ্য নীতি নিয়ে একটি তদন্ত চলছে এবং দেশটিকে সিদ্ধান্ত সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ সপ্তাহে চীন জানায়, তারা লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়—বাণিজ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর করার লক্ষ্যে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা কোম্পানিগুলো মেক্সিকোতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। বিওয়াইডি ও এমজি–র মতো গাড়ি ব্র্যান্ড এরই মধ্যে দেশটিতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ওয়াশিংটনের দাবি, বেইজিং মেক্সিকোকে ব্যবহার করে মার্কিন শুল্ক এড়াতে পারে।

শেইনবাউম প্রশাসন বর্তমানে ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করতে চাওয়া অতিরিক্ত শুল্ক কমানো যায়।

এদিকে ট্রাম্প মাদক ফেন্টানিলের প্রবাহ বন্ধ করতে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ হিসেবে মেক্সিকোর ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন।

সোমবার ট্রাম্প আরও নতুন ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন, অভিযোগ করে যে মেক্সিকো এক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে—যে চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হয়। তিনি বলেন, এটি আমাদের মার্কিন কৃষকদের জন্য অত্যন্ত অন্যায়, যাদের এ পানি খুব প্রয়োজন।

এটি রিও গ্রান্ডের উপনদীগুলোর পানি বণ্টনসংক্রান্ত ৮০ বছরের পুরোনো এক চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, যেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে যে মেক্সিকো শর্ত পূরণ করছে না।

যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম