চলতি বছরের শুরুতে ৩১ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার নিলেন এই কিউই পেসার। আর তাতেই ধস নামলো উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে।
মাত্র ১২৮ রানে অলআউট হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করায় ৫৬ রানের। সহজ এই লক্ষ্য চা-বিরতির আগেই টপকে ৩ ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছে জাস্টিন গ্রিভসের অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরিতে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ চক্রে এটি নিউজিল্যান্ডের প্রথম জয়। আর এ চক্রে সাত ম্যাচের ছয়টিতেই হেরে এখনো জয়শূন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবিয়ানদের ধসের শুরুটা হয় ব্র্যান্ড কিং রানআউট হলে। দ্বিতীয় দিন কাভেজ হাজকে নিয়ে সাবধানী শুরুর পরও দিনের অষ্টম ওভারে ঝুঁকিপূর্ণ এক সিঙ্গেল নিতে গিয়ে কাটা পড়েন রানআউটে। করেন ২২ রান। সেই ওভারেই মাইকেল রেয়ের বলে তাকেই সহজ ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন শাই হোপ।
এরপর অধিনায়ক রোস্টন চেজ—যার টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে গড় ১৬–এরও কম। ডাফির উঠতি ডেলিভারিতে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন। ১০ বলে করেন ২ রান।
হাল ধরার চেষ্টা করেন হজ (৩৫) ও প্রথম টেস্টের নায়ক জাস্টিন গ্রিভস (২৫)। কিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেললেও, ৩১তম ওভারে হজের পুল শট সরাসরি উঠে যায় বদলি ফিল্ডার উইল ইয়ংয়ের হাতে। ফলে ৮৮ রানে পতন হয় ৬ উইকেটের।
সফরকারীদের লিড তখনও ২০–এর নীচে। ততক্ষণে ম্যাচ ফসকে গেছে ক্যারিবিয়দের হাত থেকে। বাকি কাজটুকু ডাফি সেরে নেন সহজেই। গ্রিভসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। রিভিউতে সিদ্ধান্ত আসে আউটের।
নিজের পরের ওভারে টেভিন ইমলাককে (৫) স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান সাজঘরে। জেইডেন সিলসকে ০ রানে ক্যাচ আউট করে রে তার তৃতীয় উইকেট নেন। শেষ উইকেট হিসেবে ডাফি ওজে শিল্ডসকে (৯) আউট করে পাঁচ উইকেট সম্পূর্ণ করেন।
ওপেনার টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে এরপর চায়ের বিরতির আগে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে প্রস্তুত হন। মাঠে নেমে ২৬ রান তোলার পর লাথাম আন্দারসন ফিলিপের বলে লিডিং এজে ধরা পড়েন থার্ড স্লিপে।
কনওয়ে উইকেটে টিকে থেকে ২২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ২৮ রান করেন। কেন উইলিয়ামসন ১২ বলে ১৬ রান নিয়ে টানা দুটি বাউন্ডারিতে দশম ওভারেই ম্যাচ শেষ করেন।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট মাউন্ট মঙ্গানুইতে।
আইএন