কর্মচারীদের একাংশের কর্মবিরতির কারণে রাজধানীর জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিলো। পরে আন্দোলকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে রাত সোয়া ৮টা থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। মেট্রোরেল কর্মীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে ওই সময় পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিলো।
ফলে উত্তরা থেকে বেলা ৩টা ও মতিঝিল থেকে ৩টা ২০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও কোনো ট্রেনই স্টেশন ছাড়েনি। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে রাত সোয়া ৮টার পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে নিজেদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে ঠিক কী কারণে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিলো বা আগামীকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল চলাচল করবে কি-না, তা উল্লেখ করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বতন্ত্র চাকরি বিধিমালা প্রণয়নে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে আজ সকাল ৭টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। এ কারণে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন ঘটে। যদিও ডিএমটিসিএল গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে জানিয়েছিলো, আজ মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণা মানেননি আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা। পরে রাতে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দিয়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ডিএমটিসিএলের এমডিসহ কর্মকর্তারা বন্ধের দিনও প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করে আন্দোলনকারীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক বিধিমালা অনুমোদন চান। অনুরোধ উপেক্ষা করে যাত্রীসেবা বন্ধ করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। এমএমএ/এমএমকে