ক্যাম্পাস

হাদিকে গুলির প্রতিবাদে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়। এটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক ও একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘গুলির মুখে কথা কবো, আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড় , বুক পেতেছি গুলি করে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘খুনি ধর, জেলে ভর’, ‘ভারতের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘সন্ত্রাসীরা হামলা করে, ইনটেরিম কী করে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমাদের জুলাই যোদ্ধা, সহযোদ্ধা, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যার কণ্ঠ আমরা সর্বদাই শুনতে পাই, যিনি সংসদে দাঁড়িয়ে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, আমাদের সেই সহযোদ্ধার কণ্ঠস্বরকে পতিত স্বৈরাচার এবং ভারতীয় গুপ্তচর সন্ত্রাসীরা চায় দমিয়ে রাখতে। তাই আজকে সন্ত্রাসীরা সেই যোদ্ধা ওসমান হাদি ভাইকে গুলি করে টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করতে চেয়েছে। তবে আমরা বলতে চাই- যারাই আমাদের সহযোদ্ধাদের গুলি করার চেষ্টা করবে, দমন করার চেষ্টা করবে তারা হয়তো ভুলে যাচ্ছে, শুধু হাদি ভাই একজন নয়। হাদি ভাইয়ের মতো শত শত হাদি ভাই বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে, প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের প্রতিচ্ছবি এখনো বিরাজমান। তারা কতজন হাদিকে দমন করতে পারবে?’

আরেক শিক্ষার্থী কাজী নাফিস সোয়াদ বলেন, ‘জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না করা নির্ভীক ভাই আমাদের হাদি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। তার কণ্ঠকে রোধ করতে হাত মিলিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা। কতজন হাদিকে মারবেন আপনারা? হাদিদের পাশে দাঁড়াতে হাজারো প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর প্রস্তুত।’

এছাড়া, মাগরিবের নামাজ শেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হাদির সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সাইদ আহম্মদ/একিউএফ/এএসএম