লাইফস্টাইল

শীতে বিটরুট কেন খাবেন?

শীতকাল এলেই শরীরের যত্নে খাবার বাছাই হয়ে ওঠে আরও গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ক্লান্তি, ত্বকের শুষ্কতা কিংবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয় অনেকেরই। এ সময় সহজলভ্য অথচ পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি হলো বিটরুট। রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে শুরু করে শরীর গরম রাখা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শীতকালে বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা অনস্বীকার্য। তাই শীতে বিটরুট কেন খাবেন, তা জেনে নেওয়া জরুরি।

রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক: বিটরুটে রয়েছে প্রাকৃতিক আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে অনেকের শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়, বিটরুট তা কমাতে কার্যকর।

শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে: শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখা জরুরি। বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি জোগায়, ফলে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটালেইন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শীতকালে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ এড়াতে এটি বিশেষভাবে উপকারী।

হজমে সহায়ক: শীতকালে অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। বিটরুটে থাকা আঁশ হজম ভালো রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

ত্বক ও চুল ভালো রাখে: ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। বিটরুটে থাকা ভিটামিন ও খনিজ ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও আর্দ্র। চুলের গোড়াও শক্ত হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তনালিকে প্রসারিত করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। শীতকালে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি যাদের বেশি, তাদের জন্য বিটরুট উপকারী।

শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়: শীতের অলসতা কাটাতে বিটরুট দারুণ কাজ করে। এটি শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে কর্মক্ষমতা উন্নত করে।

কীভাবে খাবেন

কাঁচা সালাদ, সেদ্ধ করে ভর্তা, হালকা ভাজি কিংবা জুস বিভিন্নভাবে শীতকালে বিটরুট খাওয়া যায়। তবে পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো। সব মিলিয়ে, শীতকালে সুস্থ থাকতে, শক্তি ধরে রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিটরুট হতে পারে খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

জেএস/