উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাফল্যের তিন বছর উদযাপন করেছে তরুণদের জন্য গ্রামীণফোনের ফ্রি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গ্রামীণফোন একাডেমি।
৪৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী, গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে গত তিন বছরে গ্রামীণফোন একাডেমির সাফল্যগুলো তুলে ধরা হয়। গ্রামীণফোন একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সারা দেশের ১৬৭টির বেশি প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে কোর্স সম্পন্ন করে সনদ পেয়েছেন এক লাখ শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন একাডেমির ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি প্রোগ্রামের সফলতাও তুলে ধরা হয়। এ প্রোগ্রামের ৫০ জন শিক্ষার্থী সম্মিলিতভাবে এক বছরে ৬০ হাজার ডলার আয় করেছেন। এছাড়া নিজেদের দুটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছেন দুই জন শিক্ষার্থী, যা বাস্তব জীবনে ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি প্রোগ্রামের সফলতার স্পষ্ট প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানে আরও তুলে ধরা হয়, গ্রামীণফোন একাডেমির আওতায় এ বছরের শুরুর দিকে ‘এআই-মিশন’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে ছয় মাসে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া। ইতোমধ্যে তিন মাসে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোন একাডেমির শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, সৃজনশীলতা ও প্রাণশক্তি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের সবাইকে দেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও আশাবাদী করে তুলেছে এ কর্মসূচি। প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধি এখন শুধু সময়ের দাবি নয়, এটি দেশের অগ্রগতি এবং ব্যক্তিগত উন্নতির জন্যও অপরিহার্য। আমরা গ্রামীণফোন একাডেমির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ-উপযোগী কর্মশক্তি তৈরিতে অবদান রাখতে চাই। সময়োপযোগী কোর্সগুলোর মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যুক্ত ও অনুপ্রাণিত করে চলেছে এই একাডেমি।’
উদযাপনের অংশ হিসেবে গ্রামীণফোন একাডেমির লোগোটির একটি গাণিতিক সংস্করণ প্রদর্শন করা হয়, যা ১২৩ সূত্র-ভিত্তিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করেছেন একাডেমিরই একজন শিক্ষার্থী। একাডেমিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সর্বাধিক ২৬টি কোর্স সম্পন্নকারী একজন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও সনদ অর্জন করেন টোটব্যাগ ডিজাইন প্রতিযোগিতার বিজয়ী। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার সৈয়দা তাহিয়া হোসেন ও চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে অংশ নেন। সেশনটিতে তারা আন্তরিক ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার মাধ্যমে তাদের কর্পোরেট যাত্রার অভিজ্ঞতার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন।
গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ, হেড অব ইএসজি ফারহানা ইসলাম, হেড অব গ্রামীণফোন একাডেমি ফারহানা হোসেন শাম্মু এবং ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক-এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা এবং লেখক ও উদ্যোক্তা মুনির হাসান উপস্থিত ছিলেন।
উদযাপনের অংশ হিসেবে পণ্যের সৃজনশীল পুনর্ব্যবহার ও পরিবেশগত সচেতনতার লক্ষ্যে একটি টেকসই-থিমভিত্তিক ‘ট্র্যাশন শো’ প্রদর্শন করে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। আয়োজনের শেষের দিকে সুরের মূর্ছনায় সমাপনী অনুষ্ঠানকে উৎসব মুখর করে তোলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান।
ইএইচটি/এমএমএআর/এএসএম