ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকেই ওই এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। দুপুরের দিকে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটির হয়। একপর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও নৌবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ জানান, ভোলা-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মো. মোস্তফা কামালের নির্বাচনি প্রচারণা করছিলেন তাদের নেতাকর্মীরা। ওই সময় জামাল উদ্দিন নামে তাদের একজন নেতার ওপর হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে তাকে বাঁচাতে এসে আরও কয়েকজন আহত হন। এরপর আহতকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া সময় আবারও বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়ার বলেন, জামাল উদ্দিন আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হামলা-মামলা করেছেন। সে জামায়াতের প্রচারণায় এসে বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্য করেন। এতে আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে আমাদের অন্তত ৫ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।
চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশসহ যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে উভয়পক্ষের কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ লিখিত করেনি।
জুয়েল সাহা বিকাশ/কেএইচকে/এমএস