জাতীয়

‘সেভেন সিস্টার্স’ ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত

ভারত বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন বানাতে চায় মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে বাংলাদেশে আমরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যে সেভেন সিস্টার রয়েছে সেটাকে ভারত থেকে আলাদ করে দেবো।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ক্ষমতার জন্য, গদির জন্য, মন্ত্রণালয়ের জন্য ওরা দেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাদি ভাইকে হত্যাচেষ্টাকারী, নির্বাচন বানচাল করতে চাওয়া এবং দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িতদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে ভারত। সীমান্তে বাংলাদেশি ভাই-বোনদের হত্যার ঘটনায়ও ভারতের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।

জনতার উদ্দেশে হাসনাত বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের কাছে আপনার–আমার মৃত্যু কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। তিনি অভিযোগ করেন, অথর্ব নির্বাচন কমিশন হাদির ওপর গুলির ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনারদের কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, এমন মেরুদণ্ডহীন বক্তব্যের পরিণতি একদিন তাদের সামনেও আসতে পারে।

ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিষয়ে এনসিপি এ নেতা বলেন, দেশে এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পরিচয়ে কার্যক্রম চালায়। তারা টকশো ও নাট্যকর্মের মাধ্যমে আমাদের সংগ্রামী মানুষের মৃত্যুর বৈধতা তৈরি করে। যেসব পাচাটা শিক্ষকরা রয়েছে তাদের ধরে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে হবে। নাটক-সিনেমা থেকে আওয়ামী মুজিবের পাচাটা শিল্পকর্মীদের দেশ থেকে বের করে ভারতে পাঠিয়ে দিতে হবে।

হাসনাত বলেন, আরপিও সংশোধনের পর অনেক দল অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারায় নিজেদের দলের প্রতীক বিলীন করতে প্রস্তুত হয়েছে। তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে না। আমরা চাইনি যে হাদি ভাইয়ের রক্ত জাতীয় ঐক্যের আঠা হয়ে উঠুক।

এমএইচএ/এমএএইচ/