জাতীয়

স্মৃতিস্তম্ভের মতোই অনাদরে বটতলীর মুক্তিযোদ্ধা-মুক্তিযুদ্ধের গল্প

রাজধানী ঢাকা থেকে দূরত্ব ১০৬ কিলোমিটার। জেলা শহর কুমিল্লা থেকে ৩৫ ও উপজেলা সদর বরুড়া থেকে আরও ১৫ কিলোমিটার। এমনকি ইউনিয়ন সদর পয়ালগাছা থেকেও আড়াই কিলোমিটার বিল পেরিয়ে বটতলী গ্রাম। সেখান থেকেও পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বে বটতলী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ।

নারায়ণপুর গ্রামের পুকুর, খাল, বিল ও নালা পেরিয়ে মাঠের মাঝের এ স্থাপনাটি দৃষ্টিনন্দন। কিন্তু বছরজুড়ে যে অনাদরে পড়ে থাকে সেটা অনুমেয়। কারও পদচারণা নেই। ঘাস-জঙ্গলে একাকার। এমনকি স্বীকৃতির অভাবে অবহেলিত এখানে শায়িত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বেঁচে ফেরা গাজীরাও।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর নাগাদ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছে দূর থেকে চোখে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলি। কাছে গিয়ে দেখা যায়, শহীদের কবর ও স্মৃতিস্তম্ভের আশপাশ পরিষ্কার করছেন কয়েকজন। এত বেশি ঘাস-জঙ্গলে ছেয়ে গেছে যে, আগুনে পুড়িয়েছেন, তারপরও শেষ হচ্ছে না। পরে আবার কেটে স্তূপ করে পুড়িয়ে দিচ্ছেন।

ওখানেই কথা হয় মোহাম্মদ আলী নামে একজনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা গ্রাম পুলিশে চাকরি করি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে পাঁচজন গ্রাম পুলিশ এটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে আসছি। প্রতিবছর এই দিনে আমরা এভাবে পরিষ্কার করি। এখানে ১৬ ডিসেম্বরের আয়োজন হয়।’

এর ইতিহাস জানেন কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সিরাজুল ইসলাম (ছেরু), কাজী আরেফসহ এখানে পাঁচজন শহীদ হন। তারা এখানে শায়িত। তাদের স্মরণে এই শহীদ মিনার। তারা মূলত মাসনীগাছা থেকে যুদ্ধ করে পেছনে আসতে আসতে এখানে একটা বেতমুড়ার পেছনে অবস্থান নেন। হানাদার বাহিনী চতুর্দিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। পরে সম্মুখ যুদ্ধ করেই এখানে মারা যান।’

স্থানীয় নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার বয়স তখন ১৩-১৪। আমি সেদিন তাল গাছে উঠেছিলাম। গোলাগুলির আওয়াজ শুনে তাল গাছ থেকে নেমে এদিকে এগিয়ে দেখি- চারদিক পাকিস্তানি সেনাদের দখলে। ভয়ে আমরা পেছনে চলে আসি। পরে শুনেছি, এখানে যুদ্ধ হয়েছে- পাঁচজন মারা গেছে। বাকিদের ধরে নিয়ে গেছে।’

এখানে শহীদ মিনার দেখতে কেউ আসে? জবাবে তিনি বলেন, ‘কে আসবে? শুধু ১৬ ডিসেম্বর সবাই আসে। আর বছরের বাকি সময় কেউ খবরও রাখে না। বন-জঙ্গলে ভরে যায়, শিয়াল বাড়ালের আশ্রয় হয়।’

অনাদর অবহেলা শুধু স্মৃতিস্তম্ভ ঘিরে নয়, এখানে যারা শহীদ হয়েছেন এবং গাজী হিসেবে বেঁচে ফিরেছেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়ায়ও আছে অনীহা।

আরও পড়ুনমুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা ৫ বিদেশি বন্ধুমুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে ‘রক্তের দলিল’‘মুক্তিযুদ্ধে নিজেকে যেভাবে উৎসর্গ করেছিলাম, সেভাবে সম্মান পাইনি’মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা ৬ স্লোগান

বটতলীর স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আক্ষেপ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওনারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন। অথচ দেশ তাদের কী দিয়েছে? সিরাজুল ইসলাম ছেরু ভাইয়েরা অনেক সম্পদশালী ছিলেন। কিন্তু তার সম্পদ অন্যরা লুট করে নিয়েছে। ওনার মা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রাষ্ট্র তাদের কিছুই দেয়নি।’

যুদ্ধের সময়ের গল্প বলতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বয়স তখন ১০ বছর। সেদিন যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর এখানে আসি। এসে প্রথমে দেখি, বটতলী বাজারে হুমায়ুন পাটোয়ারীর যে দোকান এখন, তখন ক্ষেত ছিল- এটার মধ্যে একটা লাশ পড়ে আছে। সবাই মনে করছে পাঞ্জাবি হবে, কারণ অনেক লম্বা ছিল। মূলত সিরাজ ভাই (শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ছেরু)। পাঞ্জাবি মনে করে একজনে লাত্থিও দেয়। তখন পাশ থেকে একজন কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, আপনাদের জন্য আমার ভাই প্রাণ দিলো। আপনারা তাকে লাত্থি দিচ্ছেন। পরে জানছি উনি সিরাজ ভাইয়ের আত্মীয়, সেও মুক্তিযোদ্ধা ছিল। পরে সবাই বুঝে গেছে এরা মুক্তিযোদ্ধা। সামনে এসে দেখি আরিফ ভাইয়ের লাশ। সবগুলো লাশই এই মাঠে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘মোরতাজুল হক চৌধুরীর কাছে পরে শুনেছি- সিরাজ ভাইয়ের কাছে এলএমজি ছিল- ওটাতে ময়লা ঢুকে ব্রাশআউট (ফায়ার) হয়নি। পরে পেছনে গিয়ে তিনি বেত মুড়ায় লুকাইছিলেন। হানাদার বাহিনী বুঝছে এটা এলএমজির আওয়াজ। পরে তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরে নিয়ে আসছে। এই ফাঁকে গ্রাম থেকে আব্দুস সামাদ, আব্দুল হক মাস্টার এবং মোরতাজুল হক চৌধুরীসহ অনেককে ধরে আনছে। সিরাজ ভাইকে বেঁধে রাখছে। তখন মোরতাজুল হক চৌধুরী স্যারকে সিরাজ ভাই বলছিলেন- স্যার আমাকে বাঁচান। তখন স্যার জবাবে বলছিলেন- ‘সিরাজ তোমার যে অবস্থা, আমাদেরও তো একই অবস্থা। আমি তোমাকে কীভাবে বাঁচাবো।’ পরে পাঞ্জাবিরা জিজ্ঞাসা করছে, তোমারে কী বললো? বললো, আমার ছাত্র তো এটা বলছে। স্যার বললেন, আমরা তো বুঝছি, আমাদের মেরে ফেলবে। তখন আসরের সময়। বললাম, আসরের নামাজ পড়ে আসি। নামাজ পড়তে গেলাম। এই ফাঁকে সিরাজ ভাইকে মেরে ফেলছে তারা।’

ব্যাংকার শফিক বলেন, ‘আরিফ ভাই গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গে থাকা ছোটতুলাগাঁওয়ের (বাগমারা) আবু সাঈদ এবং পয়ালগাছার আরেফিন ও মকবুল ভাই; এরা তিনজন সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করছে। তাদের প্রথমে মুদাফ্ফরগঞ্জ, পরে হাজীগঞ্জ নিয়ে যায়। তাদের গুলি করে মেরে ফেলার সিদ্ধান্তও হয়েছিল। পরে সুফি নামে একজন সেনা কর্মকর্তা তাদের ছেড়ে দিছে। যারা এখানে যুদ্ধ করছে, তারা সবাই ক্লাসমেট বা ব্যাচমেট ছিল।’

যুদ্ধের ময়দান থেকে বেঁচে ফেরা পয়ালগাছার সামছুল আরেফিন চৌধুরীর সঙ্গে ঢাকায় ফিরে কথা হয়। যুদ্ধের পুরো গল্প তুলে ধরেন তিনি। শুরুটা ছিল এমন- ‘আমার বয়স তখন ১৩-১৪ হবে। আমি মূলত বাড়িতে ছিলাম। সেদিন সেনা আসছে বলে পুরো এলাকা নীরব নিস্তব্ধ। আমরা দেখছি, আর্মি আসছে পয়ালগাছা হয়ে বটতলীর দিকে চলে গেছে। দেখলাম- আমাদের পুকুর পাড়ে একজন লাল শার্ট পরা লোক। উঁকি দিয়ে দেখলাম তার পেছনে আরও চার-পাঁচজন। কাছে গিয়ে দেখি আরিফ ভাই (কাজী আরিফ), তিনি আবার আমার বড় ভাইয়ের ক্লাসমেট ছিল। তিনি বললেন, তুমি আসছো, ভালো হয়েছে, আমরা তো কেউ কিছু চিনি না। আমরা তো এখানে যুদ্ধ করতে আসছি। ধরো বলে, আমাকে একটা বস্তা (পরে জানছি ম্যাগাজিন ও গ্রেনেড ছিল) দিলো। চলো আমার লগে। আমরা নারায়ণপুরের দিকে যাবো। প্রায় একশ’র মতো আর্মি গেছে ওদিকে। আমি লুঙ্গি ও শার্ট পরা ছিলাম। বস্তা নিয়ে আমি তাদের সামনে দিয়ে হাঁটি তারা আমার পেছনে পেছনে। বস্তার ওজন বেশি ছিল। কখনো হাতে, কখনো কাঁধে নিয়ে হাঁটতেছিলাম।’

আরেফিন বলেন, ‘এভাবেই অপরিকল্পিতভাবে জড়িয়ে যাই যুদ্ধে। সতীর্থ পাঁচ যোদ্ধা শহীদ হন, আমি আহত হয়েছিলাম। পরে আমিসহ তিনজন গ্রেফতার হই। কয়েকদিন জেরার পর বয়সে ছোট হওয়ায় চিকিৎসক ভাইয়ের সহযোগিতা ও কমান্ডিং অফিসারের বদান্যতায় মুক্তি পেয়েছিলাম। বাকি দুজনকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ ছিল, কিন্তু সেই অফিসার মানবিক ছিল। ওপরের দিকে খালি ফায়ার করে তাদের দৌড়ে চলে যেতে বলে। ভাগ্যগুণে আমরা তিনজন বেঁচে আসছি। আমাদের যুদ্ধের স্থলে শহীদ মিনার হয়েছে। কিন্তু চোখের সামনে শহীদ হওয়া সিরাজ ভাইয়ের স্বীকৃতি হয়নি। তার পরিবার সুবিধা পায় না। আমি বলেছিলাম, আমার সুবিধা দরকার নাই। যুদ্ধ করেছি, এই স্বীকৃতিটা অন্তত দাও। সেটিও পাইনি। অথচ, যুদ্ধের সময় দেখিনি, এমন লোকও মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিছে।’

আরেফিনের সঙ্গে ছিলেন মকবুল। তিনিও স্বীকৃতি পাননি। তার ভাতিজা বাবু জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাচার স্বীকৃতিটা হয়নি। উনি অনেক চেষ্টা করেছেন।’

এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (পরবর্তীসময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এমপি হয়েছিলেন) অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বটতলীর যুদ্ধ আমিও করেছি। সেটা তো আমার মনে আছে। আমি তো বরুড়া, কচুয়া, ময়নামতি, লালমাই অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলাম। ওখানে যারা যুদ্ধ করেছে, বয়সে তরুণ ছিল। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা ১২-১৪ জায়গা থেকে কাভারিং ফায়ার করে তাদের উদ্ধার করি। না হলে সেখানে আরও হতাহত হতো।’

স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে তো আমারও স্বীকৃতি ছিল না। একজন সচিব আমাকে ডেকে বললো, ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার লিস্টে আপনার নাম আছে। আপনি যুদ্ধ করেছেন। সনদ নিচ্ছেন না কেন? তখন আমিসহ ৩৩ জনকে সনদ দিছে। ওদের দেয় নাই কেন, জানি না। তবে শহীদ সিরাজুল ইসলামের মা আমার কাছে এসেছিলেন, আমি তাকে সহযোগিতা করেছি। তখন তো তার যে স্বীকৃতি নাই বা সুযোগ-সুবিধা পায় না সেটি আমাকে বলেনি। ওখান থেকে বেঁচে ফেরা সামছুল আরেফিনের বয়স কম হওয়ায় তাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারপরও আমি এমপি থাকা অবস্থায় তার বিষয়ে লিখে দিয়েছিলাম স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। দেয়নি।’

কমান্ডার মিলন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এদের প্রত্যেকের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম গেছেন। ওখানে স্মৃতিস্তম্ভ হয়েছে। সবাই সম্মান দেয়। রাষ্ট্র সবাইকে সুযোগ-সুবিধা দেয়। তাদের কেন দেবে না? দেওয়া তো উচিত।’

শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাগিনা মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার নানা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুর ইসলামের স্বীকৃতির জন্য তার সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারকে নিয়ে দফায় দফায় জামুকা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এমনকি মন্ত্রীর কাছে গিয়েও সমাধান পাইনি। যেখানে যাই টাকা চায়। টাকা ছাড়া কেউ কাজ করে না। ’

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানেই যাই নাই। কেউ আমাদের দাবিতে সাড়া দেয়নি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও তাদের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় এই স্বীকৃতি হয়নি।’

বর্তমানে বরুড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আহ্বায়ক সামছুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের উপজেলা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ একটাই- বটতলীর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। সম্মুখযুদ্ধে ওখানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মরণে সেখানেই স্তম্ভ করা হয়েছে। তবে, তাদের স্বীকৃতির হয়েছে কী হয়নি, জানি না। এতদিন আওয়ামী লীগ ছিল। তাদের যাদের মন চাইছে দিছে। যাদের মন চায়নি দেয়নি। এগুলো নিয়ে আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। এখন আমরা এসেছি, কাগজপত্র খতিয়ে দেখবো। শহীদ তালিকায় আমাদের বরুড়ার ২৬ জন ছিল জানতাম। কাগজপত্র খুঁজে পাইনি।’

বিজয় দিবসে বটতলী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে যাবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি যাবো না। ওখানে আমাদের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা যাবেন।’ শুধু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নন, যাতায়াতে উপজেলা সদর থেকে দূরে হওয়ায় অনেকে যেতে চান না। এমনকি উপজেলার অনেক মুক্তিযোদ্ধাই যান না সেখানে।

স্বীকৃতির বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। আমার কাছে তথ্য নেই। জেনে জানাবো। এরপর আর তিনি জানাননি। ফোনও রিসিভ করেনি।’

এ বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালক শাহিনা খাতুনের বক্তব্য জানতে চেয়েও পাওয়া যায়নি। এর আগের সরকারেও জামুকার চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব ও মন্ত্রীর কাছে একই বিষয়ে জানতে গেলে তারা শুনানি হবে, হচ্ছে বলে এড়িয়ে গেছেন।

এসইউজে/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম