মহান বিজয় দিবস ঘিরে আলোর রোশনাইয়ে নতুন রূপে সেজেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার চেতনা ও বিজয়ের গৌরব তুলে ধরতে ক্যাম্পাসজুড়ে করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো আলোয় আলোয় হয়ে উঠেছে আরও মনোমুগ্ধকর।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), স্মৃতি চিরন্তন, উপাচার্যের বাসভবন ও বিভিন্ন আবাসিক হলে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এসব আলোকসজ্জায় ফুটে উঠেছে মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বিজয়ের নানান অনুষঙ্গ।
এছাড়া বিজয় দিবসে আবাসিক হলগুলোতে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
সন্ধ্যা নামতেই ক্যাম্পাসে যেন উৎসবের আমেজ। কার্জন হলের সামনে ভিড় করছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কেউ আলোকসজ্জা দেখছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে সেলফিতে মুহূর্তগুলো ধরে রাখছেন। বিজয়ের আলোয় মোড়া ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে অন্যরকম এক আবেগঘন পরিবেশ।
শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরাও এই আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ। অনেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন, আবার অনেকে ক্যামেরায় বন্দি করছেন মনকাড়া দৃশ্যগুলো।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরাফাত রহমান উদয় বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে এমনভাবে সাজানো প্রশাসনের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেমন বাড়ে, তেমনি দেশের মানুষও আকৃষ্ট হয়।
ঢাবি শিক্ষার্থী মো. ইসলামুল হক বলেন, আমাদের রক্তে অর্জিত বিজয় দিবস। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাস এমনিতেই সুন্দর, বিজয়ের সাজে কার্জন হল আর সবুজ ক্যাম্পাস আরও অপরূপ হয়ে উঠেছে। হলে ছিলাম, কিন্তু এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে না এসে পারলাম না। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলেছি, ভিডিও করেছি-ফেসবুকেও শেয়ার দিয়েছি।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে টিএসসিতে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ‘রক্তে রাঙা বিজয় আমার ২০২৫’ নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছে কিছু ব্যান্ড। এই অনুষ্ঠানেও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশেই চলছে আগুন নিয়ে নানা কারসাজি। কেউ মুখ থেকে আগুন বের করছে, কেউ আগুন নিয়ে দেখাচ্ছে নানা ভেলকিবাজি ।
আগত এক দর্শনার্থী বলেন, আমি ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী। ১৬ ডিসেম্বর বা তার আগেরদিন ক্যাম্পাসে এমন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। পূর্বের ন্যায় এবারও সেই আনন্দ উপভোগ করতেই বনানী থেকে ছুটে আসা।
এফএআর/এমআরএম/জেআইএম