জাতীয়

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা এ আমলেও অনিশ্চিত

বহুল প্রতীক্ষিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা এ আমলেও হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে একটি স্বচ্ছ তালিকার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন সবাই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশজুড়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ। এতে লোকবল ও সময়ের পাশাপাশি অর্থেরও প্রয়োজন।

চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) কর্মকর্তারা।

‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে গত ৩ জুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। নতুন অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে যারা রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন তারাই কেবল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে মর্যাদা পাবেন। অন্য যারা দেশ-বিদেশ থেকে স্বাধীনতার অর্জন ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্ব জনমত গঠন ও কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনে কাজ করেন তারা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

২৫ মার্চ তাদের সবার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে এমন একটা বয়ান সবার ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে। যখন আমরা তাদের ইন্টারভিউ করেছি দেখেছি তারা আসলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।- জামুকার সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান

কিন্তু, ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সরকার এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সেটা আলাদা করতে পারেনি।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, সরকারের উচিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী দ্রুত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের আলাদা করা। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে যাওয়া।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকার সদস্যরা জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রগতি হবে। তবে সরকারের মেয়াদ শেষ হলেও জামুকার মেয়াদ আরও থাকবে। পরবর্তী সরকার আন্তরিক হলে এই জামুকা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা বিষয়টি অনেকটাই চূড়ান্ত করে আনতে পারবে।

আরও পড়ুনবীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা কতদূর?সহযোগীদের ওপরে তোলা হয়েছে, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা নিচে পড়ে গেছেন‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শনাক্তে ডিসি-ইউএনও অফিসে টাঙানো হচ্ছে তালিকা

বিজয়ের ৫৪ বছর হয়ে গেলেও এর মূল কারিগর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশের কোনো সরকার। স্বাধীনতার পর যে সরকার এসেছে তারাই একটি তালিকা করার কাজে হাত দিয়েছে। তালিকার নামে অসংখ‌্য অমুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সনদ। আওয়ামী লীগের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরপরই এ বিষয়টি ত্বরান্বিত হয়। দিন যত গড়িয়েছে বেড়েছে মুক্তিযোদ্ধার সংখ‌্যা। কিন্তু, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিতর্কহীন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে ব‌্যর্থ হয়েছে সরকারগুলো।

যে অভিযোগগুলো আসে আমরা সেগুলো যাচাই করে দেখছি বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধাই ভুয়া। আমরা তাদের গেজেট বাতিল করছি। তবে একেবারে সারাদেশে সব মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাইয়ে যেমন লোকবল লাগবে, তেমনি অর্থ লাগবে।- জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ৯ হাজারের মতো। জামুকার সদস্যরা জানান, ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা হওয়ার কথা এক লাখ ২০ হাজারের মতো। সেক্ষেত্রে বর্তমানে তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রায় অর্ধেকই ভুয়া বলে মনে করছেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এ সরকারের সময়ের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা করার চেষ্টা করছি। জামুকার বর্তমান কমিটি তিন বছর মেয়াদি। নতুন সরকার এলে যে কমিটি বাতিল হয়ে যাবে এমন নয়। জামুকার সদস্য হিসেবে যারা রয়েছেন তারা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে সব মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে সেগুলোর অনেকগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

জামুকার সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাউন্সিলের সদস্য ১১ জন। প্রথমে দুটি টিম কাজ করেছে, এখন চারটি টিম কাজ করছে। আগে সোম ও মঙ্গলবার হতো এখন মঙ্গল ও বুধবার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ হয়। সপ্তাহে ২০০-২৫০ এর বেশি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখছি যে, ৮০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাই ভুয়া, কী কারণে মুক্তিযোদ্ধা না সে নোট দিয়ে আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি। বিভিন্ন সময়ে ২২ হাজারের মতো অভিযোগ জমা পড়েছিল। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৬-৭ হাজারের মতো অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছি। এছাড়া নতুন যে সব অভিযোগ আসছে সেগুলো ধীরে ধীরে বিবেচনায় নিচ্ছি।’

আমাদের দাবি ছিল- যারা রণাঙ্গনে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন এবং যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের আলাদা তালিকা হোক। সরকার এ বিষয়ে আইন করেছে। আইন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহকারীদের তালিকা নির্ধারণের কাজ চলছে বলে শুনেছি। এ তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করা উচিত।- মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতীক)

পুলিশ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দেড় হাজার আবেদন জামুকার কাছে পাঠিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১২শ থেকে ১৩শই ভুয়া পেয়েছি। ২৫ মার্চ তাদের সবার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে এমন একটা বয়ান সবার ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে। যখন আমরা তাদের ইন্টারভিউ করেছি দেখেছি তারা আসলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়।’

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ৯ হাজারের মতো জানিয়ে জামুকার এ সদস্য বলেন, ‘এম এ জি ওসমানী, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামের যে বক্তব্য সে অনুযায়ী আমরা দেখি যে মুক্তিযোদ্ধার মোট সংখ্যা সর্বোচ্চ এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের ডকুমেন্ট অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কোনোভাবেই এর বেশি হতে পারে না। নজরুল ইসলামের একটা চিঠি আছে, সেখানে ৮০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভরণ-পোষণের তথ্য আমরা পেয়েছিলাম।’

সাদেক আহমেদ খান আরও বলেন, ‘১৯৮২ সালে এরশাদের আমলে আমিন আহম্মেদ চৌধুরীর (বীর বিক্রম) নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। তখন এসব ভাতা বা সুযোগ-সুবিধার বিষয় ছিল না। সেটা ছিল জাতীয় তালিকা, সেই তালিকায় মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার। সেখানে মূলত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাই ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এখন যত সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাই বলা যায়, এর অর্ধেকই ভুয়া। আমাদের তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন সরকার এসে এ কমিটি রাখবে কি না সেটাও তো জানি না। আমরা আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা চাই কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, আবার কোনো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাতে তালিকায় না থাকেন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কর্মকর্তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।’

এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমাদের সময় দেওয়া হলে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকাটি চূড়ান্ত করে রেখে যেতে পারবো। শতভাগ না পারলেও ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ নির্ভুল করা সম্ভব। সরকারের ঘোষণার পর ৭৫০ জনের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে সবকিছু জমা দিয়েছেন।’

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি এলে জামুকার কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তখন সব কমিটির কাছ থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চাইবো। তারা সহজেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কারা ভুয়া সেই তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবেন।’

‘আমরা চাই যে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাটা যাতে একবারে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আর কেউ ঢুকবে না এবং মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করার সিস্টেম জামুকাও বন্ধ করে দেওয়া দরকার।’

মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা-মোকদ্দমাও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করার পথে একটি বাধা বলেও জানান কাউন্সিলের একজন সদস্য।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জামুকার চারটি টিম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই, বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই, অভিযোগ রিট মামলার রায় বাস্তবায়ন, ভুল সংশোধনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো আসে আমরা সেগুলো যাচাই করে দেখছি বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধাই ভুয়া। আমরা তাদের গেজেট বাতিল করছি। তবে একেবারে সারাদেশে সব মুক্তিযোদ্ধাকে যাচাই-বাছাইয়ে যেমন লোকবল লাগবে, তেমনি অর্থ লাগবে।’

মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর তালিকার অগ্রগতি কতদূর?মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতীক) জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল- যারা রণাঙ্গনে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন এবং যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের আলাদা তালিকা হোক। সরকার এ বিষয়ে আইন করেছে। আইন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহকারীদের তালিকা নির্ধারণের কাজ চলছে বলে শুনেছি। এ তালিকা দ্রুত প্রণয়ন করা উচিত।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের তালিকা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলছে। জামুকার যারা সদস্য, কাউন্সিলের যারা সদস্য আছেন তারা এ কাজটি করছেন। প্রথমত, আসলে জামুকাকে অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করতে হচ্ছে। এজন্য একটু সময় লাগছে।’

‘ফুটবল খেলোয়াড়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, বিদেশে যারা সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন- এমন কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে, এগুলোতে যারা আছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া অন্য যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত কিন্তু সরাসরি সশস্ত্র যুদ্ধ করেননি, এই তালিকা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের আলাদা করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ হবে। পর্যায়ক্রমে সেই কাজগুলো করা হচ্ছে’ বলেন ইসরাত চৌধুরী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেন, ‘অন্য কাজের সঙ্গে আমরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কাজও করছি। এটি শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, ‘নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী তিন ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধারা তালিকাভুক্ত হবেন, আর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী তালিকাভুক্ত হবেন। সে অনুযায়ী কাজ চলমান।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন কিন্তু তারা হবেন মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী, এদের আলাদা করার বিষয়টি একটি বড় প্রক্রিয়া। এটি রাতারাতি করা সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকবল সংকট আছে। যদি জনবল বেশি থাকতো তবে আমি মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে পারতাম।’

আরএমএম/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম