ক্যাম্পাস

মোদীর ইতিহাস বিকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ অবমাননার প্রতিবাদ ছাত্রশক্তির

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার ও অবমাননা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ লাখো শহীদের রক্ত, লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রম এবং কোটি মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত এক ঐতিহাসিক বাস্তবতা। এই ইতিহাসকে অস্বীকার বা বিকৃত করা ইতিহাসবিরোধী ও আত্মঘাতী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবেও বিবেচিত।

জাতীয় ছাত্রশক্তি উল্লেখ করে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনো ‘আকস্মিক ঘটনা’ বা ‘আঞ্চলিক অস্থিরতা’ ছিল না; বরং এটি ছিল বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সর্বাত্মক সংগ্রাম। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ ছিল এই মুক্তিযুদ্ধ। এ ইতিহাসকে খাটো করা মানে শহীদদের রক্তকে অস্বীকার করা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে অবমাননা করা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কূটনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী এবং দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের সম্মান কোনো বিদেশি শক্তির রাজনৈতিক বক্তব্যের ওপর নির্ভরশীল নয়। দেশের ইতিহাস ও অস্তিত্ব রক্ষায় তারা সর্বদা আপসহীন থাকবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যেকোনো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায়।

সংগঠনটি বাংলাদেশ সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলে, এ ধরনের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে সক্রিয় কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

এফএআর/এমকেআর/এমএস