খেলাধুলা

৯ কোটি ২০ লাখে কেকেআরে মোস্তাফিজ

একে একে দামি ক্রিকেটার কিনে আইপিএল নিলামে তোলপাড় ফেলে দিচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যামেরান গ্রিনকে ২৫ কোটি ২০ লাখ এবং মাথিশা পাথিরানাকে ১৮ কোটি রুপিতে কেনার পর এবার বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি (প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা) দিয়ে কিনে নিলো শাহরুখ খানের দল।

মোস্তাফিজুর রহমানের ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামে চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশের কাটার মাস্টারকে জিতে নিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।

২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম আসরেই হায়দরাবাদকে চ্যাম্পিয়ন করেন। এরপরের মৌসুমেও ছিলেন হায়দরাবাদে। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, চেন্নাই সুপার কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে বিভিন্ন মৌসুমে খেলেছেন আইপিএলে।

গত মৌসুমেও শেষ মুহূর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস মোস্তাফিজকে দলভূক্ত করেছিলো তার ভিত্তিমূল্যে। এবার নিলামে নাম ওঠার পর শুরুতেই মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় দিল্লির ফ্রাঞ্চাইজিটি। চেন্নাই সুপার কিংসের একজন ডেথ ওভারের পেসার প্রয়োজন। মাথিসা পাথিরানাকে পায়নি। এ কারণে মোস্তাফিজের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল তারাও।

দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের লড়াইয়ে ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে মোস্তাফিজের। দু’দলের পাল্টাপাল্টি প্যাডল আপে ৫ কোটি রুপি পর্যন্ত উঠে যায় মোস্তাফিজের দাম। এ সময় রণে ক্ষান্ত দিয়ে সরে দাঁড়ায় দিল্লি। চেন্নাই ৫ কোটি ৪০ লাখ রুপিতে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল মোস্তাফিজকে।

কিন্তু খেলা তখনও বাকি। হঠাৎই লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাইও হারতে রাজি নয়। তারা এক লাফে উঠে যায় ৭ কোটি রুপিতে। কেকেআরও কম যায় না। দাম বাড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত স্টিফেন ফ্লেমিং চেন্নাই কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে প্যাডল তুলে দেন ৯ কোটি রুপিতে। তারা ভেবেছিল, কেকেআর এবার ক্ষান্ত দেবে।

কিন্তু কলকাতার দলটি নাছোড়বান্দা। তারা প্যাডল আপ করে জানিয়ে দিলো, মোস্তাফিজের জন্য আরও বেশি দিতে চায়, ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি। চেন্নাই বুঝে গেছে, আর বাড়াতে পারছে না তারা।

সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিলো লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর। শেষ পর্যন্ত ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতেই মোস্তাফিজকে কিনে নিলো কেকেআর।

আইএইচএস/