পাকিস্তানের কোচের পদটি যেন মিউজিক্যাল চেয়ার। বারবার পরিবর্তন হতেই থাকে। এবার পাকিস্তান টেস্ট দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব ছাড়লেন আজহার মাহমুদ, যার চুক্তি ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত।
তবে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের আগে পর্যন্ত কোনো টেস্ট ম্যাচ না থাকায়, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে আজহার মাহমুদের দায়িত্বকাল এখনই শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের পর টেস্টে ৭ জন হেড কোচ বদল করলো পাকিস্তান। যদিও নতুন কোচ নিয়োগে তেমন তাড়াহুড়া নেই। তবে এটি হবে পাকিস্তান টেস্ট দলের অষ্টম প্রধান কোচ খোঁজার প্রক্রিয়া। এই সময়ের মধ্যে কোচিং কাঠামোও একাধিকবার পরিবর্তিত হয়েছে। কখনো মোহাম্মদ হাফিজ ছিলেন টিম ডিরেক্টর, কখনো গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন কোচ হলেও মিকি আর্থার ছিলেন টিম ডিরেক্টর।
এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিলে আজহার মাহমুদ সব ফরম্যাটের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সে সময় তিনি সাদা বলের দলে গ্যারি কার্স্টেন এবং লাল বলের দলে জেসন গিলেস্পির সঙ্গে কাজ করছিলেন। একই মাসে তিনি অন্তবর্তীকালীন হিসেবে একটি সাদা বলের সিরিজও তদারকি করেন।
ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ হিসেবে আজহার মাত্র একটি টেস্ট সিরিজে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সিরিজে ঘরের মাঠে বর্তমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১-১ ড্র করে পাকিস্তান, যা ইতিবাচক ফল হিসেবেই বিবেচিত হয়।
‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’কে আজহার মাহমুদ বলেন, ‘পিসিবি আমাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল এবং সেই সময়ের মধ্যে আমি পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমার চুক্তির মেয়াদ এখন শেষ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দলের সাফল্যের জন্য আমি শুভকামনা জানাই।’
এটি ছিল পাকিস্তান দলের সঙ্গে আজহার মাহমুদের দ্বিতীয় দফা কাজ। এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মিকি আর্থারের কোচিং স্টাফে তিনি বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বর্তমানে আজহার মাহমুদ আইএলটি২০ লিগে টেবিলের শীর্ষে থাকা ডেজার্ট ভাইপার্স দলের ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আবারও ফ্র্যাঞ্চাইজি ও লিগভিত্তিক ক্রিকেটে কোচিং ভূমিকায় ফিরে যাবেন। অতীতে তিনি পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের প্রধান কোচ ছিলেন এবং পাকিস্তান দলে যোগ দেওয়ার আগে সারের সহকারী কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন।
এমএমআর