ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১টি। এর মধ্যে ৮৭৪৬টি ভোটকেন্দ্রকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ১৬ হাজার ৩৫৯টি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এখন মাথাব্যথার মূল কারণ।
এছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগসহ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় অপপ্রচারসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে পুলিশ।
কোনো নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা, থানা থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব, কোন এলাকায় কোন রাজনৈতিক দলের আধিপত্য বেশি, দুর্গম এলাকা, পাহাড়ি এলাকা ও চরাঞ্চল—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোকে লাল (অতি ঝুঁকিপূর্ণ), হলুদ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও সবুজ (সাধারণ) তিন ভাগে ভাগ করেছে পুলিশ সদরদপ্তর।
গত আগস্ট মাসে একটি অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের নির্দেশনায় পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।-পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নির্বাচনের আশঙ্কা ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র তাই পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যদিও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি দায়িত্বে থাকবেন। পুলিশের তথ্যানুযায়ী, ঝুঁকি নেই এমন ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা (সাধারণ) ১৭ হাজার ৬৫৬টি।
অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তাপুলিশের একটি সূত্র বলছে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে দুজন সদস্য ও সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের কাছে অস্ত্র এবং বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১৩ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এর বাইরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনী নিয়োজিত থাকবে সার্বিক নিরাপত্তায়।
পুলিশের আশঙ্কা ও চ্যালেঞ্জপুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাওয়া একটি গোপন নথি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দেশের পুলিশ লাইন্স, থানা, ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র-গুলি এখনো পুরোপুরি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে লুট হওয়া এ সব অস্ত্রসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ৫ আগস্টের পর বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।
আরও পড়ুনভোটের মাঠে শঙ্কা বাড়াচ্ছে ‘টার্গেট কিলিং’‘নির্বাচনের জন্য ঝুঁকির কারণ’ আসামিদের ধরতে বিশেষ অভিযানজাতীয় নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি চায় ইসিএবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে
নির্বাচনের সময় স্বার্থন্বেষী মহল তাদের ব্যবহার করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। সীমান্তবর্তী, চরমপন্থি, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত আসনগুলোতে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলাদা নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা যেতে পারে।
নির্বাচনের সময় যে কোনো ধরনের গুজব, অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা রোধে সাইবার মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এআইয়ের মাধ্যমে কোনো পক্ষ ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে ডিপ ফেক ভিডিও, মিথ্যা ভাষণ বা নকল বার্তা তৈরির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের চরিত্র হনন ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যেন ভোটারদের বিভ্রান্ত করার সুযোগ না পায় সে উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্টদের তথ্য যাচাইকরণের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষণে যা পেয়েছে পুলিশ৩০০ সংসদীয় আসনের চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনা করে নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে— দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি গ্রুপ ও তিন পার্বত্য জেলার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, অপহরণ, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। নির্বাচনের সময় কোনো পক্ষ তাদের ব্যবহার করে ওই অঞ্চলের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু। এছাড়া ১০ শতাংশ কিংবা এর অধিক সংখ্যালঘু ভোটারের আসন সংখ্যা ১১৩টি। স্বার্থান্বেষী মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে।
নির্বাচনের সময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগসহ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি, ধর্মীয় অপপ্রচারসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপতৎপরতা চালাতে পারে।
নথিতে চ্যালেঞ্জগুলো পর্যালোচনায় আরও বলা হয়— ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনগুলোতে যেসব আসনে আওয়ামী লীগ সব সময় জয়লাভ করেছে সেসব আসনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এসব নির্বাচনে ১০ হাজারের কম সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে যে সব আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে সেসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো ফলাফল পক্ষে নেওয়া কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা থেকে সংঘর্ষ বাড়তে পারে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত। এর মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচন হয় সম্পূর্ণ ‘একতরফা’। একক প্রার্থী থাকায় ১৫৩টি আসনে তখন ভোটেরই প্রয়োজন হয়নি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচন দেশজুড়ে ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পায়। সবশেষ ২০২৪ সালের ভোটকে বলা হয় ‘ডামি’ নির্বাচন।
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী নির্বাচনে পুলিশ যাতে কোনো দলের প্রার্থীর পক্ষ কাজ না করে, সে জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে লটারি করে ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই পদ্ধতিতে দেশের সব থানার ওসি পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া অতীতের বিতর্কিত ভূমিকা থেকে বের করে আনতে নির্বাচনের সময় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে পুলিশের দেড় লাখ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ শেষ। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে অন্য সদস্যদের প্রশিক্ষণও শেষ হবে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্ত্রের মহড়া ও ব্যবহার হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। বিভিন্ন পক্ষ গুজব ছড়িয়েও আতঙ্ক তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারেন, এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
কোথায় কত কেন্দ্র ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী— মেট্রোপলিটন এলাকার ডিএমপিতে ২১৩১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৬৯৫টি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ১১৩৩টি। আর সাধারণ কেন্দ্র ৩০৩টি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে (সিএমপি) ৬০৭ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ১৪৯টি। সাধারণ ভোটকেন্দ্র ১৪৬টি।
খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) ৩০৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১০২টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটনের (আরএমপি) ২১৭ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৪টি রয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনে (বিএমপি) ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৮২টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯৬টি সাধারণ কেন্দ্র।
সিলেট মেট্রোপলিটনে (এসএমপি) ২৯৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৬৫টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনে ৩৯৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ২২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯১টি সাধারণ কেন্দ্র।
রংপুর মেট্রোপলিটনে ২০৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৮৭টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
বিভাগীয় পর্যায়ে (রেঞ্জ) ঢাকা বিভাগের ৮ হাজার ৩১ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৯৮০টি, ঝুঁকিপূর্ণ ২৫৫২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ৩৪৯৯টি।
চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৩৪৭ কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৪০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৩৭৩৭ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২১৭০টি সাধারণ কেন্দ্র।
খুলনায় ৪৮২৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১৫৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৫২৯টি সাধারণ কেন্দ্র।
রাজশাহীতে ৫২৪৭ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৮৮১, ঝুঁকিপূর্ণ ১৬৭০ এবং সাধারণ কেন্দ্র ২৭৩৬টি।
বরিশালে ২৬৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৬৯৭, ঝুঁকিপূর্ণ ১০৯২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ৮৪৬টি।
সিলেটে ২৬৪১ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৮৯৮ এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৩৮১টি।
রংপুরে ৪৫৪৬ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৮২৭টি, ঝুঁকিপূর্ণ ১৭৭২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৯৮৫টি।
এছাড়া ময়মনসিংহে ৩০৯১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪১৩টি, ঝুঁকিপূর্ণ ১০৭২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৬০৬টি।
বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। পুলিশ সদর দপ্তর, নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলাদাভাবে নজরদারি রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হবে। প্রার্থীদের পক্ষে যারাই পেশিশক্তি দেখানোর চেষ্টা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা ও সাজা দেওয়া হবে যাতে এটি নজির হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের নির্দেশনায় পুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
গত তিনটি নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা রয়েছে মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সেই সমালোচনার বাইরে এসে এবার যেন সফলভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা যায়। অন্তর্বর্তী সরকার চায় এই নির্বাচন সবচেয়ে নিরপেক্ষ, অবাধ-সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হোক। নির্বাচনে পুলিশ যেন তাদের দায়িত্বটা সবচেয়ে ভালো পালন করতে পারেন, সে জন্য বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষিত হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, পুলিশের যারা কোনো কারণে একসময় বিচ্যুত হয়েছিলেন, তাদের আবার আইনের শাসন ও বিধি-বিধানের বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের পরিশুদ্ধ করা সম্ভব নয়, এমন বিতর্কিত ব্যক্তিরা যেন নির্বাচনে নেতৃত্বের দায়িত্বে না থাকেন, সেটিও আমরা খেয়াল রাখবো।
টিটি/এএসএ/এএসএম