শীতকালে যেহেতু গিজার-রুম হিটার ব্যবহার করা হয় তাই বিদ্যুৎ বিল গরমকালের মতোই বেশি আসে। তাই বলে তো আর এসব গ্যাজেট ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। দৈনন্দিন জীবনে সামান্য সচেতনতা ও অভ্যাসের বদল আনলেই বিদ্যুতের অপচয় কমানো সম্ভব। এতে মাসের শেষে বিল কম আসবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি কাজ যা শীতকালে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারে- ১. অনেকেই এই ভুলটা করেন, মোবাইল ফোন চার্জে লাগানোর পর চার্জার খুলে নিলেও সুইচ বন্ধ করা হয় না। এই সামান্য অবহেলাতেই স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার খরচ হতে থাকে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতিরিক্ত ইউনিট খরচ হয়, যা বিদ্যুতের বিলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ২. বাড়ির আলো ব্যবস্থায় সাধারণ বাল্বের বদলে এলইডি ল্যাম্প ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়। সাধারণ বাল্বে ফিলামেন্ট ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের অপচয় বেশি হয়। অন্যদিকে এলইডি বাতিতে আধুনিক সার্কিট প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় একই আলোতে অনেক কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। ৩. গিজার-হিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। বারবার গিজার-হিটার চালু ও বন্ধ করলে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়। তাই নির্দিষ্ট সময়ে গিজার-হিটার চালু করুন, ব্যবহার শেষে বন্ধ রাখুন পুরোপুরি। ৪. ফ্রিজ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতনতা প্রয়োজন। দিনে অন্তত এক ঘণ্টা ফ্রিজ বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়। ফ্রিজের ভেতরে ঠান্ডা জমে থাকায় এই সময়ের মধ্যে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না, বরং যন্ত্রটি কিছুটা বিশ্রাম পায়।
৫. গৃহস্থালির যে কোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই দেখতে হবে ওই বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ৩ বা ৫ স্টার রেটিং রয়েছে কি না। রেটিং যত বেশি হবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষমতাও তত বেশি হবে। আরও পড়ুনশীতে রুম হিটার চালিয়েও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবেফ্রিজ ব্যবহারের যেসব ভুলে বাড়বে বিদ্যুৎ বিল
কেএসকে/