প্রথম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন কিছুটা খরুচে। কিন্তু ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দ্বিতীয় স্পেলে। মাত্র ১ রান খরচায় ওই ওভারে শিকার করলেন ৩টি উইকেট।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আইএল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে ১৮তম ওভারে তুলে নেন রশিদ খান, টম ব্যান্টন ও গজনফরের উইকেট।
নিজের করা শেষ ওভারে ছক্কা হজম করায় রান দিয়ে দেন ৩৪। তাই কিছুটা খরুচে মনে হলেও এক ওভারে ৩ উইকেট শিকার করে এমআই এমিরেটসের লাগাম টেনে ধরেন মোস্তাফিজই। ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে এমআই।
১২তম ওভারে ১ উইকেটে ৮৯ রান নিয়ে ভালো অবস্থানেই ছিল এমিরেটস। ক্যাপিটালসের ফিল্ডাররা ৭টি ক্যাচ ছেড়ে আরও রানের সুযোগ করে দিলেও সেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় দলটি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ম্যাচে প্রথমবার বল করতে এসে মোস্তাফিজ দেন ১০ রান। ষোলোতম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে ফিজ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দেন ৭ রান।
ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ওভারটি করতে বাংলাদেশের পেসার আসেন ১৮তম ওভারে। প্রথম বলটি ছিল কাটার। বড় শট খেলতে গিয়ে মিড-অফে দাসুন শানাকাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রশিদ খান। পরের বলে ১ রান আসে। বাকি চার বলে আর কোনো রান আসেনি।
তৃতীয় বলে আরও একটি স্লোয়ারে টম ব্যান্টন লং-অনে ধরা পড়েন। অফ স্টাম্পের বাইরের পঞ্চম বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপ ফিল্ডারের হাতে আটকা পড়েন গজনফর।
ইনিংসের শেষ ওভারটি ছিল ফিজেরও শেষ ওভার। খরচ করেন ১৬ রান। প্রথম বল ইয়র্কার করলেও সেটি থেকে বাউন্ডারি পেয়ে যান রোমারিও শেফার্ড।
চতুর্থ বলে লং-অফে থাকা ফিল্ডার জর্ডান কক্স ক্যাচ ছেড়ে দিলে উইকেটবঞ্চিত হন মোস্তাফিজ। পরপর তিন বলে দুই রান করে নেওয়ার পর, ওভারের শেষ বলে স্লোয়ার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন শেফার্ড।
আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজের অভিষেক আসরে পাঁচ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট হলো ৯টি।
মোস্তাফিজ ৩ উইকেট পেলেও ক্ষুদ্র লক্ষ্য পেরোতে পারেনি দুবাই। রান তাড়ায় ধস নামে তাদের ব্যাটিংয়েও। ১৩তম ওভারে স্বাগতিকদের বোর্ডে রান ছিল ২ উইকেটে ৮৯। সেখান থেক ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ম্যাচ হারতে হয় ৭ রানে।
আইএন