২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৮৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র বা চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ৯ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তদন্তে নেমে আসাদুজ্জামানের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তার ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের সম্পৃক্ততা পায় দুদক।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসাদুজ্জামান খান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসাধু উপায়ে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২২ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া এই আসামি ৯টি ব্যাংক হিসেবে ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩ টাকা লেনেদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে কমিশন থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত মাসে আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৭ নভেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শেখ হাসিনাসহ অন্যদের ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এসএম/এমআইএইচএস/এএসএম