জাতীয়

হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে প্রথমে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপরে রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’; ‘হাদি ভাই মরল কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’; ‘রুখে দাও জনগণ, ভারতীয় আগ্রাসন’–ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।

রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার প্রথম আলো অফিসে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। পরে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুরের উদ্দেশ্যে যায়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

এদিকে টিএসসি থেকে মিছিল বের করে জাতীয় ছাত্রশক্তি। ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও, রুখে দাও’; ‘এক হাদি লোকান্তরে, লক্ষ হাদি ঘরে ঘরে’–ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

জুলাই অভ্যুত্থান এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের জন্য বিজয়নগর এলাকায় গিয়ে তিনি আক্রান্ত হন।

চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়।

গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়ো নিউরোসার্জন আব্দুল আহাদ বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাদের হাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

টিটি/জেএইচ