ইউক্রেনের জরুরি আর্থিক চাহিদা মেটাতে ৯০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। তবে এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইইউতে জব্দ থাকা রাশিয়ার সম্পদ ব্যবহারের প্রশ্নে তারা একমত হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনার পর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি। তিনি জানান, আগামী দুই বছরের জন্য ইউক্রেনকে ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়া হবে, যা ইইউর বাজেটের মাধ্যমে সমর্থিত থাকবে। এই ঋণ ইউক্রেনকে তখনই ফেরত দিতে হবে, যখন রাশিয়া ক্ষতিপূরণ দেবে।
কস্তা আরও বলেন, প্রয়োজনে এই ঋণ পরিশোধে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ব্যবহারের অধিকার ইইউ সংরক্ষণ করে রাখছে।
ইইউ নেতারা শুরুতে চাইছিলেন ইউরোপে জব্দ থাকা রাশিয়ার প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরোর সম্পদকে ঋণের জামানত হিসেবে ব্যবহার করতে। কিন্তু বেলজিয়ামের আপত্তির কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। বেলজিয়ামে ইইউতে জব্দ থাকা রুশ সম্পদের প্রায় ৮৮ শতাংশ রাখা আছে।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ওয়েভার বলেন, এই ক্ষতিপূরণভিত্তিক ঋণ পরিকল্পনা ভালো ধারণা নয়। তার মতে, এতে অনেক আইনি ও আর্থিক ঝুঁকি রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
এদিকে ব্রাসেলসভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ার রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বড় অঙ্কের মামলার মুখে রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা রুশ গোয়েন্দাদের হুমকিরও শিকার হয়েছেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মারৎস বলেন, এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা। তার ভাষায়, পুতিন তখনই ছাড় দেবে, যখন বুঝবে এই যুদ্ধ তার জন্য লাভজনক নয়।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যদি ক্ষতিপূরণ না দেয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আইন মেনে জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহার করে ঋণ পরিশোধ করা হবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এমএসএম