ক্যাম্পাস

হাদিকে ‘জংলি’ আখ্যা দেওয়া ইবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ‌‘জংলি’ বলে কটূক্তি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়।

জানা যায়, গতকাল প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাদিকে কটূক্তি করে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুরের সময় বললেন ১৫ বছরের শাসনের ক্ষোভ। ৩২ ভাঙচুরে ও অগ্নিসংযোগের সময়ও তাই বললেন। আজ প্রথম আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে, এখন কি বলবেন? ওসমান হাদির মতো একটা জংলি পুলার জন্য এত আবেগ তুললে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখনো যারা আক্রান্ত হয় নাই, ভাবছেন বেঁচে গেছেন? না, ধীরে ধীরে সবাই আক্রান্ত হবেন। প্রথম আলো জ্বালিয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি এই পত্রিকার অনেক কিছুর সঙ্গে দ্বিমত করলেও সংবাদ মাধ্যমে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। এই গণমাধ্যম টিকিয়ে রাখতে হবে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘হাদিকে যিনি জংলি বলেন, তিনি নিজেই জঞ্জাল’, ‘আপনি জংলি কাকে বলেন? জুলাই যোদ্ধাকে?’, ‘হাদি ভাইয়ের মতো আমরা সবাই জংলি, এই জঙ্গলে আমরা এমন শিক্ষক চাই না’—ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৫টি দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে- ১. শিক্ষক আলতাফ হোসেনের স্থায়ী বহিষ্কার নিশ্চিত করা, ২. হাদির খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার করা, ৩. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের সকল অপতৎপরতা বন্ধ ও বিচার নিশ্চিত করা, ৪. ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং শহীদ আবরার ফাহাদ এবং শহীদ ওসমান হাদির নামে হল বা স্থাপনার নামকরণ করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন বিপ্লবীকে ‘জংলি’ বলা মানে দেশের জন্য আত্মত্যাগ এবং সমগ্র জাতির সম্মানে আঘাত হানা। যে শিক্ষক জাতির বিবেক গঠনের দায়িত্বে থাকেন, তার মুখে এমন ফ্যাসিস্ট মানসিকতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা আরও হুঁশিয়ারি দেন যে, এসব অপশক্তির বিচার না হলে ক্যাম্পাসে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি স্কটল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে গবেষণারত রয়েছেন।

ইরফান উল্লাহ/কেএইচকে/এএসএম