ডিজিটাল যুগে সংগীতচর্চার নতুন ধারায় নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন একদল তরুণ শিল্পী। সেই নতুন প্রজন্মের একজন হলেন সংগীতশিল্পী ও গীতিকার মো. খায়রুল আলম মাহফুজ। আধুনিক ভাবনা, অনুভূতিপূর্ণ সুর এবং প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশনার মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠছেন শ্রোতাদের কাছে।
মো. খায়রুল আলম মাহফুজ একজন বাংলাদেশি স্বাধীন সংগীতশিল্পী। তিনি মূলত বৈশ্বিক শ্রোতাদের লক্ষ্য করে সংগীতভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি ও পরিবেশন করে থাকেন। তার গানে সমসাময়িক জীবনবোধ, ব্যক্তিগত অনুভূতি ও মানবিক সম্পর্কের নানা দিক ফুটে ওঠে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করে তার গান।
২০২৩ সাল থেকে সংগীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন মাহফুজ। সংগীতের প্রতি দীর্ঘদিনের আগ্রহ থেকেই তিনি নিজস্ব উদ্যোগে ইনস্ট্রুমেন্টাল বা ভোকালবিহীন সংগীত পরিবেশনায় যুক্ত হন। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে তিনি গড়ে তুলেছেন নিজস্ব একটি শিল্পীসত্তা।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে তার সংগীতচর্চা ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তার গান ও সংগীতভিত্তিক কনটেন্ট শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ডিজিটাল মাধ্যমের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি সরাসরি শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর একটি কার্যকর পথ তৈরি করেছেন।
সংগীতশিল্পী হিসেবে তার কাজ ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ ও আলোচিত হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তার পারিবারিক নাম মাহফুজ। তার পিতা মো. আসাদুল্লাহ এবং মাতা মোছা. জাকিয়া ফেরদৌস সংগীতচর্চায় তাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন। তিনি উলুসারা আ. কাদির ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ফায়েজ উদ্দিন সরকার ইউনিভার্সেল কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে সংগীতাঙ্গনে নিজের স্বতন্ত্র পথচলায় এগিয়ে চলেছেন খায়রুল আলম মাহফুজ। ভবিষ্যতে আরও নতুন কাজের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর প্রত্যাশা তার।
এলআইএ