মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সেনানী, সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা এ কে খন্দকার ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তার মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তার শোকাহত পরিবার-পরিজনের মতো তিনিও গভীরভাবে সমব্যথী।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে এ কে খন্দকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ কে খন্দকার ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের কারণে জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রতি তার মমত্ববোধ ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
শোকবার্তায় তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কেএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম