মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-৩) সংসদীয় আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালে তার মনোনয়ন নিশ্চিতের বিষয়টি মোবাইলফোনে জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া তার ফেসবুকে ফরিদুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন বলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিকে তার মনোনয়ন নিশ্চিতের খবর মোংলা-রামপালে ছড়িয়ে পড়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন।
মোংলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন পনি ও রামপাল উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতারা বলেন, শেখ ফরিদুল ইসলামকে মনোনীত করায় দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থীকে যথাযথ মূল্যায়ন করেছে। কারণ ফরিদ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মোংলা-রামপালের মানুষের পাশে ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্র ঘোষিত সব আন্দোলন-কর্মসূচী পালন করেছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের হামলা-মামলা মোকাবেলা করেছেন। হামলা-মামলার শিকার নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন।
তারা আরও বলেন, এ আসনটিতে শেখ ফরিদুল ইসলাম অত্যন্ত জনপ্রিয়, আমরা সবাই মিলেমিশে ধানের শীষের প্রার্থী ফরিদুল ইসলামকে জয়ী করবো।
এর আগে ২০১৮ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন পান এ আসন থেকে। যদিও এরও আগে এ আসনটিতে নির্বাচন করতেন বিএনপি-জামায়াত জোটের জামায়াত প্রার্থী। কিন্তু এবারই প্রথম এই আসনটিতে বিএনপির ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন বিএনপির লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম।
শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি থেকে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমি মনোনয়ন পেয়েছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের নীতিনির্ধারণী নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি বিশাল পরিবার, মনোনয়ন নিয়ে দলের ভিতর প্রতিযোগিতা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মেনে আসুন আমরা ব্যক্তিগত পছন্দ বা ছোটখাটো বিভাজন ভুলে গিয়ে দলের জন্য একসঙ্গে কাজ করি। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করি। এছাড়া নির্বাচনে আমি আপনাদের প্রার্থী হিসেবে প্রত্যেকের আন্তরিক সহযোগিতা ও কার্যকরী ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।
আবু হোসাইন সুমন/এনএইচআর/জেআইএম