ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী, বান্ধবী ও শ্যালককে আবারও চারদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছিদ্দিক আজাদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, প্রধান সন্দেহভাজন গুলিবর্ষণকারী ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে প্রথম দফার রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নির্ধারণ, অর্থের জোগানদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা এবং মামলার এজাহারভুক্ত ও পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শেষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন জানান, বিচারক সার্বিক বিষয় বিবেচনায় তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়।
এমডিএএ/ইএ