রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকীর কাছ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এসময় তিনি বলেন, আজ রংপুর- ৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা প্রথম আত্মপ্রকাশ যে, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি মানে, আমাদের শর্ত কিছু আছে, যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে, যদি সব দল এই নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে অংশগ্রহণ করতে পারে, সবার প্রতি নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি সেটা সব প্রার্থীর প্রতি যদি সমানভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি আমরা একটা নির্বাচন করবো। ইনশাআল্লাহ সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বরাবরের মতো ফলাফল ভালোই হবে।
মোস্তফা আরও বলেন, এখন অনেকেই বলতে পারেন যে, জাতীয় পার্টির দুর্গে অনেকে হানা দিয়েছে। সেটা তখনই প্রমাণ হবে, যখন প্রমাণ করার সুযোগ হবে। জাতীয় পার্টির জনসমর্থন হ্রাস পেয়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে তার প্রমাণ হিসাবেই নির্বাচন। জনগণের মতামতে আমরা সঠিক প্রতিফলন চাই।
৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে মোস্তফা বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো ৩০০ আসনেই। এখনো হয়ত ৩০০ আসনে আমাদের ভাইটাল প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তবে আরও সময় আছে। শুধু প্রার্থী হলেই হবে না। প্রার্থীকে নির্বাচন করার জন্য তার সেই দক্ষতা আছে কিনা, তার জনপ্রিয়তা আছে কিনা, সব যাচাই করে আমরা কিন্তু মনোনয়ন দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এখন অনেকে মনোনয়ন কিনছেন। কিন্তু চূড়ান্তভাবে যখন সিলেকশন হবে, তখন ভাইটাল প্রার্থীদের আমরা মনোনয়ন দেব। যারা বিজয়ী হওয়া বা সম্মানজনক অবস্থানে যাওয়ার মতো সক্ষমতা রাখে, এই ধরনের প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। সেটা ৩০০ হতে পারে, ২০০ হতে পারে, ২৫০ হতে পারে, এটা আমরা এখন বলতে চাই না।
মোস্তফা বলেন, আমরা যদি এই সিলেকশনগুলো সঠিক দিতে পারি, বিশেষ করে রংপুর ডিভিশনে যদি আমরা সিলেকশনগুলো সব ঠিকভাবে দিতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ জাতীয় পার্টি অত্যন্ত ভালো ফলাফল করবে, এটা আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ সেই আগের দেশ নেই। এখন কোনো ল’ অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন নেই। নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না, বিচার বিভাগ কাজ করতে পারছে না। এখন মবের সংস্কৃতি চালু হয়েছে। ডিসিকে তারা কাজ করতে বাধ্য করাচ্ছে। সব জায়গায় একটা অচল অবস্থা। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনেক সরকার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু আজকে যে অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এখান থেকে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে আরও ২০ বছর সময় লাগবে বলে আমি মনে করি।
জিতু কবীর/এমএন/এএসএম